প্রাথমিকভাবে ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হয়নি। অবশেষে ডক্টর রেড্ডিকে স্পুটনিক-৫ টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের অনুমোদন দিল কেন্দ্র। তার ফলে এবার ভারতে মানবদেহে রাশিয়ার করোনাভাইরাস টিকার ট্রায়াল চালানো যাবে।
শনিবার ডক্টর রেড্ডি ও রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) তরফে জানানো হয়েছে, টিকার ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিজিসিআই)। একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বিভিন্ন কেন্দ্রে ও এলোমেলোভাবে সেই পরীক্ষা চালানো হবে। তাতে সুরক্ষা ও অনাক্রম্যতার পরীক্ষাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।'
রাশিয়ার খুব অল্পসংখ্যক মানুষের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টিকা হিসেবে অনুমোদন পেয়েছিল স্পুটনিক-৫। কিন্তু ভারতে বড় জনসংখ্যার মধ্যে ট্রায়াল চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ডক্টর রেড্ডি। তাতেই আপত্তি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বর্তমানে নথিভুক্ত-পরবর্তী তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়াল বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাস টিকার। তাতে অংশগ্রহণ করেছেন ৪০,০০০ জন।
অনুমোদন পাওয়ার পর ডক্টর রেড্ডির কো-চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জি ভি প্রসাদ বলেন, 'পুরো প্রক্রিয়ায় ডিজিসিআইয়ের বৈজ্ঞানিক কঠোরতা ও নির্দেশনা মেনে নিয়েছি আমরা। এটা একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যা ভারতে আমাদের ক্নিনিকাল ট্রায়াল শুরুর অনুমতি দিয়েছে। আর মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে একটি সুরক্ষিত এবং কার্যকরী টিকা নিয়ে আসার বিষয়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
উল্লেখ্য, ভারতে স্পুটনিক-৫ টিকার ক্নিনিকাল ট্রায়ালের জন্য গত সেপ্টেম্বরে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল আরডিআইএফ এবং ডক্টর রেড্ডি। সেই চুক্তি অনুযায়ী, ১০০ মিলিয়ন টিকার (১০ কোটি) ডোজ পাবে ভারত।