সপ্তাহ তিনেক আগে ‘আত্মবিশ্বাস’-এর সঙ্গে জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের মধ্যেই করোনাভাইরাস টিকা তৈরি করে ফেলবে ভারত। রবিবার অবশ্য সেই দাবি থেকে কিছুটা পিছু হটলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। বরং আশাপ্রকাশ করলেন, আগামী বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে দেশে করোনার টিকা তৈরি হয়ে যেতে পারে।
ব্রিটেনে এক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর ট্রায়াল স্থগিত করে দিয়েছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। প্রাথমিকভাবে ভারতে ট্রায়াল চালু থাকলেও পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ব্রাজিলে আবারও ট্রায়াল শুরুর ঘোষণা করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তা সত্ত্বেও সম্ভাব্য টিকার মান নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে।
বিষয়টি নিয়ে রবিবার 'সানডে সংবাদ'-এ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, করোনার সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ক্ষেত্রে যাবতীয় সতর্কতা নিচ্ছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে টিকার সুরক্ষা, দাম, কোল্ড-চেন, উৎপাদন সময়-সহ টিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হচ্ছে।
দেখুন করোনা টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় খবর
ঘণ্টাখানেকের আলাপচারিতায় করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উত্তর দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন নেন তিনি। একনজরে দেখে নিন কয়েকটি প্রশ্নোত্তর -
১) কোন সম্ভাব্য টিকার ট্রায়াল সবথেকে বেশি আশাপ্রদ ?
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে কয়েকটি টিকার ট্রায়াল চলছে। বর্তমানে আমরা অনুমান করতে পারব না যে কোনটা সবথেকে কার্যকরী হবে। তবে ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে আমরা অবশ্যই ফল জানতে পারব।’
২) টিকার প্রাপ্যতা নিয়ে :
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। যা পুরো প্রক্রিয়ার দেখভাল করছে। ট্রায়ালের ফলাফল মূল্যায়নের সময় উৎপাদন সংস্থাগুলিকে বৃহদাকারে টিকা তৈরির পরামর্শ দেওয়া হবে। যাতে একটুও সময় নষ্ট না হয়।
৩) কাদের প্রথম টিকা দেওয়া হবে?
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সবথেকে ঝুঁকিপূর্ণ অংশকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁদের প্রথম টিকা দেওয়া হবে। কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য যদি তাঁকে প্রথম টিকা নিতে হয়, তাহলে তিনি আনন্দের সঙ্গে প্রথম ডোজ নেবেন।
৪) করোনার টিকার দাম :
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, যে টিকার এখনও ট্রায়াল চলছে, সেগুলির দাম নিয়ে এত তাড়াতাড়ি মন্তব্য করা যাবে না। তবে যাঁদের করোনা টিকার প্রয়োজন, আর্থিক ক্ষমতার উর্ধ্বে উঠে তাঁদের টিকা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করবে ভারত সরকার।