প্রাথমিক রিপোর্টে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ফাইজারের করোনাভাইরাস টিকা রাখার বিষয়টিই সবথেকে বড় সমস্যার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সঙ্গে যে পরিমাণ টিকা মিলবে, তা ভারতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে না। তার ফলে ভারত আদৌও ফাইজারের করোনা টিকা কিনবে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) তথা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল জানান, ভারতীয়দের জন্য যে সংখ্যক ডোজ প্রয়োজন, তা ফাইজারের তরফে মিলবে না। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুুমোদন পেলে ফাইজারের টিকা কেনা এবং বণ্টনের বিষয়েও কৌশল তৈরি রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। জাতীয় টাস্ক ফোর্সের প্রধান আশ্বাস দেন, যাবতীয় সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র।
তবে সেখানেই সমস্যার শেষ হচ্ছে না, নীতি আয়োগের সদস্য বলেন, ‘মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ফাইজারের টিকা মজুতের জন্য যে সংখ্যক হিমঘরের প্রয়োজন আছে, তার বন্দোবস্ত করা বড়সড় চ্যালেঞ্জের এবং কোনও দেশের ক্ষেত্রেই তা সহজ হবে না। তবে (টিকা) যদি কিনতে হয়, তাহলে আমাদের কী করতে হবে, তা খতিয়ে দেখছি এবং আমরা একটি কৌশল তৈরি করব।’
এখনই অবশ্য ভারতে ফাইজারের টিকা আসছে না বলে জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য। মর্ডানা এবং ফাইজারের সম্ভাব্য টিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়গুলির উপর নজর রাখছি। ওরা প্রাথমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেছে এবং এখনও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পায়নি।’
গত সপ্তাহে মার্কিন সংস্থা ফাইজার এবং জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনাভাইরাস রুখতে ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। কার্যকারিতার নিরিখে সেই সম্ভাব্য টিকাকে ছাপিয়ে যায় মর্ডানার ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’। সোমবার মার্কিন সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, সম্ভাব্য করোনা টিকা ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে। আটদিনের ব্যবধানে সেই জোড়া সুখবরে আশার আলো দেখছে বিশ্ব।