দিনকয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ার আলাপচারিতায় জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন আশাপ্রকাশ করে আবারও জানালেন, আগামী বছরের শুরুর মধ্যেই করোনাভাইরাসের টিকা পাবে ভারত।
সংসদের উচ্চকক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘নিজেই পুরো পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মনে রাখবে ইতিহাস। অন্যান্য দেশের মতোই ভারত চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই বিষয়টি দেখছে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং ভবিষ্যতের জন্যও আমরা পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছি। আমরা আশাবাদী যে আগামী বছরের শুরুর মধ্যে ভারতে টিকা পাওয়া যাবে।’
অগস্টের শেষের দিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষের মধ্যেই ভারতে করোনার টিকা মিলবে। কিন্তু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর ট্রায়াল স্থগিত হওয়ার পর ভারতের টিকা প্রাপ্তির সম্ভাব্য সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী বছর গোড়ার দিকে নিয়ে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গত রবিবার 'সানডে সংবাদ'-এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ভারতে কয়েকটি টিকার ট্রায়াল চলছে। বর্তমানে আমরা অনুমান করতে পারব না যে কোনটা সবথেকে কার্যকরী হবে। তবে ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে আমরা অবশ্যই ফল জানতে পারব।’
দেখুন করোনা টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় খবর
একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। যা পুরো প্রক্রিয়ার দেখভাল করছে। ট্রায়ালের ফলাফল মূল্যায়নের সময় উৎপাদন সংস্থাগুলিকে বৃহদাকারে টিকা তৈরির পরামর্শ দেওয়া হবে। যাতে একটুও সময় নষ্ট না হয়।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভারতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার ১.৬৪ শতাংশ। যা বিশ্বে সর্বনিম্ন বলে দাবি করেন তিনি। তবে তাতে আত্মতুষ্ট না হয়ে কেন্দ্র মৃত্যুর হার এক শতাংশের নামিয়ে চেষ্টা করছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে একটি প্রশ্নের জবাবে হর্ষবর্ধন জানান, সুস্থতার নিরিখেও বিশ্বের প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে আছে ভারত।