আগামী বছরের গোড়ার দিকেই করোনাভাইরাস টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে ভারতের। শুধুমাত্র একটি নয়, একাধিক সংস্থা থেকে সেই টিকা মিলতে পারে বলে আশাপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
প্রায় দেড় মাস পর মঙ্গলবার আবারও বৈঠকে বসে কেন্দ্রের মন্ত্রিগোষ্ঠী। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পৌরহিত্যে সেই বৈঠকে দেশে ও বিদেশে করোনাভাইরাসের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। একইসঙ্গে আগামিদিনে করোনা টিকার প্রাপ্যতা ও বণ্টনের জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হবে, কী কৌশল তৈরি করা হবে, সে বিষয়েও আলোচনা করেছেন মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যরা।
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছরের গোড়ার দিকে (টিকা পাওয়ার) আশা করছি। একাধিক উত্স থেকে আমাদের দেশে করোনা টিকা মিলতে পারে। দেশে কীভাবে করোনা টিকার বণ্টন করা হবে, কাদের প্রথম টিকা প্রদান করা হবে সেই পরিকল্পনা তৈরির জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীগুলি কাজ করছে। দেশের কোল্ড চেন পরিকাঠামোও উন্নত হচ্ছে।’
সংবাদসংস্থা এএনআইকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০ টি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। প্রি-ক্নিনিকাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে প্রায় ১৫১ টি ক্যান্ডিডেট এবং প্রায় ৪২ টি ক্নিনিকাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে। বিশ্বে ন'টি সম্ভাব্য টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়াল চলছে। তার মধ্যে তিনটি ভারতের।’
এর আগে, চলতি মাসের গোড়ার দিকেই 'সানডে সংবাদ'-এর চতুর্থ পর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘মোটামুটি আমাদের অনুমান ও লক্ষ্য হল, ২০২১ সাালের জুলাইয়ের মধ্যে ৪০০-৫০০ মিলিয়ন ডোজ পাওয়া এবং সেটি ব্যবহার করা। যা প্রায় ২২-২৫ কোটি মানুষকে দেওয়া হবে।’