কোভ্যাক্সিনের ‘দারুণ’ সুরক্ষা এবং অনাক্রম্যতার প্রমাণ মিলেছে। যা বিশ্বে নজর কেড়েছে। এমনটাই জানাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।
ইতিমধ্যে ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য সেই টিকার অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। আইসিএমআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এনআইভি) সঙ্গে যৌথভাবে সেই সম্ভাব্য টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। আপাতত কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ফল মিলেছে। যা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পথ প্রশস্ত করেছে। আপাতত দেশের ২২ টি জায়গায় তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
তারইমধ্যে আইসিএমআরের তরফে বলা হয়েছে, ‘আইসিএমআর এবং ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে ভারতের করোনাভাইরাস টিকা কোভ্যাক্সিন এক অভূতপূর্ব নজির তৈরি করেছে। ভারত থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে সুরক্ষা এবং অনাক্রম্যতার দারুণ প্রমাণ মিলেছে। যা প্রকাশের ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখিয়েছে ল্যানসেট (মেডিক্যাল জার্নাল)।’
চলতি মাসের গোড়ার দিকে কলকাতায় কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর দিন নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত জানিয়েছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি হলেও অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল আসতে নয়া বছরের মে হয়ে যাবে। তিনি বলেছিলেনন, ‘মূল্যায়নের জন্য এক বছর সময় লাগবে।আগামী ছ'মাসের মধ্যে হয়তো অন্তর্বর্তীকালীন মূল্যায়ন সম্পন্ন হবে। যদি পর্যাপ্ত মাত্রায় প্রতিরক্ষামূলক কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তা নীতি নির্ধারকদের দেওয়া হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’ সঙ্গে যোগ করেছিলেন, ‘তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে আমরা প্রাথমিকভাবে টিকার প্রতিরক্ষামূলক কার্যকারিতা পরীক্ষা করব। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ইতিমধ্যে সুরক্ষা এবং অনাক্রম্যতা খতিয়ে দেখা হয়েছে।’