পাক্কা আট দিন। তারইমধ্যে করোনাভাইরাস রুখতে জোড়া ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকারিতার প্রমাণ মিলল। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মর্ডানার সম্ভাব্য করোনা টিকা ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন সংস্থা।
ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সেই অভ্যন্তরীণ তথ্য অনুযায়ী, ৩০,০০০-এরো বেশি স্বেচ্ছাসেবকের উপর সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ৯৫ জন আক্রান্তের উপর ভিত্তি করে অভ্যন্তরীণ গবেষণা প্রকাশ করেছে মর্ডানা। যাঁদের প্লাসেবো বা টিকা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে টিকা পাওয়া মাত্র পাঁচজনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ২৮ দিনের ব্যবধানে যে টিকার দুটি শট প্রদান করা হয়েছে। যে মানুষদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবথেকে বেশি, তাঁদের মধ্যে থেকেই ৯৫ জনকে নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৫ জনের বয়স ৬৫ বা তার বেশি। এছাড়াও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ২০ জন ছিলেন। একইসঙ্গে ওই ৯৫ জনের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর ছিল এবং তাঁদের প্রত্যেককে প্লাসেবো দেওয়া হয়েছিল।
মার্কিন সংস্থার সিইও স্টিফেন ব্যানসেল বলেন, ‘এই তৃতীয় পর্যাযের গবেষণার ইতিবাচক মূল্যায়ন প্রথমবার তার বৈধতা দিয়েছে যে আমাদের টিকা যে কোভিড-১৯ রোগকে রুখতে পারবে।’ তাঁর থেকেও বেশি আত্মবিশ্বাসী শোনায় মর্ডানার প্রেসিডেন্ট স্টিফেন হগেকে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমরা একটা টিকা পেতে চলেছি। যা কোভিড-১৯-কে রুখতে পারে।'
মার্কিন সংস্থার সূত্রে খবর, আমেরিকা-সহ সারা বিশ্বে ব্যবহারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সেই টিকার অনুমোদন চাওয়া হবে। আর চলতি বছরের মধ্যে প্রায় ২০ মিলিয়ন বা দু'কোটি ডোড তৈরি করতে পারবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে মর্ডানা।