আগামী মাসেই করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকার অনুমোদনের আর্জি জানাতে পারে মার্কিন সংস্থা ফাইজার। সংস্থার আশা, অক্টোবরের মধ্যেই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে।
আপাতত তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৪,০০০-এর মতো করার প্রস্তাব দিয়েছে বায়োএনটেক এসই এবং ফাইজার। যারা যৌথভাবে সেই সম্ভাব্য টিকা তৈরি করছে। তার ফলে ট্রায়ালে বৈচিত্র বাড়বে। প্রাথমিকভাবে ৩০,০০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের দেহে টিকা প্রয়োগের লক্ষ্য নিয়েছিল মার্কিন ও জার্মান সংস্থা। যে লক্ষ্যমাত্রা আগামী সপ্তাহের মধ্যে পূরণ হয়ে যাবে বলে দাবি করা হয়েছে।
ফাইজারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘প্রস্তাব অনুযায়ী (ট্রায়ালের ক্ষেত্র সম্প্রসারণের ফলে) ট্রায়ালে সামিল হওয়া জনসংখ্যার বৈচিত্র বাড়বে এবং ১৬ বছর পর্যন্ত কিশোর ও ক্রনিক, এইচআইভি, হেপাটাইটিস সি বা হেপাটাইটিস বি সংক্রমণ-সহ মানুষ অন্তর্ভুক্ত করবে। একইসঙ্গে বাড়তি সুরক্ষা এবং কার্যকরী তথ্য প্রদান করবে।’
পরীক্ষা-নিরীক্ষা যদি সফল হয়, তাহলে অক্টোবরেই টিকার অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন জানানো হবে বলে দাবি করেছে ফাইজার। শনিবার মার্কিন ও জার্মান সংস্থার তরফে একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আগে যেটা বলা হয়েছিল, সংক্রমণের বর্তমান হারের ভিত্তিতে সংস্থাদ্বয়ের আশা, অক্টোবরের শেষের মধ্যে (সম্ভাব্য টিকার) কার্যকারিতা নিয়ে চূড়ান্ত খবর জানানো যাবে।’