খুব সম্ভবত মিউটেশন হয়েছে। তার ফলে আরও সংক্রামক হয়েছে করোনাভাইরাস। আমেরিকার ফ্লোরিডার স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণায় এমনই দাবি করা হয়েছে।
গবেষণাগারে যে পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে ইউরোপ এবেং আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়া SARS coronavirus 2 (সার্স করোনাভাইরাস ২) ভ্যারিয়েন্টের বড়সড় জেনেটিক মিউটেশন হয়েছে। তার জেরে কোষে সংক্রমণের ক্ষমতা বেড়েছে করোনাভাইরাসের।
স্ক্রিপস রিসার্চের ভাইরোলজিস্ট তথা অন্যতম গবেষক হায়ারউন চয়ি বলেন, 'আমরা যে কালচার সিস্টেম ব্যবহার করেছি, তাতে মিউটেশন না হওয়া ভাইরাসের তুলনায় এরকম মিউটেশন হওয়া ভাইরাস অনেক বেশি সংক্রামক।'
এমনিতেই পৃথিবীর কিছু প্রান্তে করোনাভাইরাসের দাপট অত্যধিক বেশি, আবার কয়েকটি জায়গায় সেই ভাইরাসের প্রভাব ভালো করে কীভাবে সামলানো গিয়েছে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, ‘সেটা কি গোষ্ঠী নিয়ে কিছু এবং তাদের পদক্ষেপ নিয়ে নাকি ভাইরাস পরিবর্তিত হয়েছে?’
গবেষণায় দেখানো হয়েছে, কীভাবে সব ভাইরাস মিউটেশন করে এবং কিছুটা পরিবর্তিত হয়। তবে সেই পরিবর্তনগুলি ‘কালেভদ্রে শারীরিক ক্ষমতা বা লড়াই করার ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে’। SARS-CoV-2 ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে D614G মিউটেশনের উপস্থিতি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। যা গোড়ার দিকে আঞ্চলিক করোনার ক্ষেত্রে ছিল না।
তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কীভাবে আরও বেশি দীর্ঘস্থায়ী হতে হবে, সেই উপায় সম্ভবত খুঁজে পেয়েছে করোনা। তাই আরও গবেষণার প্রয়োজন। স্ক্রিপস রিসার্চের ইমিউনোলজি এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহ-চেয়ারম্যান মাইকেল ফারজান বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি (করোনাভাইরাস) টিকে থাকা এবং যতক্ষণ না প্রয়োজন, ততক্ষণ না ভেঙে যাওয়ার উপায় খুঁজে পেয়েছে। সিলেকশন প্রেসারের (নির্দিষ্ট পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে একটি অর্গ্যানিজমের উপর প্রভাব বিস্তারকারী বাহ্যিক এজেন্ট) ভিত্তিতে ভাইরাসটি নিজেকে আরও স্থায়ী করে তুলেছে।’