আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি লিখে সেখানকার শহরগুলিতে কোভিড পরীক্ষার মাত্রা বাড়ানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন করে এই রাজ্যগুলিতে কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ওমিক্রন ত্রাসের মাঝেই কোভিড টেস্টিং বাড়ানোর পাশাপাশি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা এবং কোভিড টিকাকরণের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ দিল্লি, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কর্ণাটক এবং ঝাড়খণ্ডকে চিঠি লিখেছেন এবং রাজ্যগুলিকে কোভিড পরীক্ষা বাড়ানো, হাসপাতাল-স্তরের প্রস্তুতি জোরদার করার এবং টিকাকরণের গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে দিল্লি এবং মুম্বইতে সর্বাধিক কোভিড সংক্রমণ দেখা গিয়েছে দেশে। তাছাড়া গুরগাঁও, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু এবং আহমেদাবাদ সহ অন্যান্য শহরগুলিও সংক্রমণের নিরিখে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। এই আবহে উদ্বেগ বাড়ছে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে।
এই বিষয়ে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডঃ ভিকে পাল বলেন, ‘গোটা বিশ্বেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই মতো আমাদের দেশেও তা বাড়ছে। আমরা সচেতন যে এই ভ্যারিয়েন্টটি অত্যন্ত সংক্রামক। এর তীব্রতা এখনও অনিশ্চিত। অবশ্য আশা করা যায় ওমিক্রন ততটাও মারাত্মক নয়। তবে আমরা এটিকে হালকা ভাবে নিতে পারি না। দেশ হিসাবে আমরা প্রস্তুত এবং আমাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমাদের কাছে ভালো ভ্যাকসিন রয়েছে যা একটি বড় ঢাল। আমি আবার বলছি, আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু দায়িত্বশীল হতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে। শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে হবে।’
উল্লেখ্য, বড়দিন মিটতেই রাজ্যে লাগামছাড়া হচ্ছে করোনা৷ গত কয়েকদিনে প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে সংক্রমণ৷ আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা৷ বৃহস্পতিবার কলকাতায় নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০ জন। অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষণে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা মনে করছেন আর এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ৷ পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হতে পারে যে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার হতে পারে।