করোনা ভাইরাস যুদ্ধে জয়লাভ করতে টিকাকরণের বিকল্প নেই। এই আবহে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ সম্পন্ন করতে হলে মোট ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টিকা দিতে হবে। অর্থাত্, মোটামুটি ৯৪ কোটি মানুষকে দুটি করে ডোজ দিতে হবে। যার মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, জুন মাস থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ডোজ দিতে হবে। অঙ্ক কষে দেখলে প্রতি মাসে দেশে ২৩.৮ কোটি করে ডোজ দিতে হবে।
কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, চলতি বছরের মধ্যেই সমস্ত দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যদি এই টিকাকরণ প্রক্রিয়াকে ক্রিকেট খেলার রান তাড়ার সঙ্গে তুলনায় করা হয়, তাহলে বর্তমানে দেশে যে হারে টিকাকরণ চলছে, তাতে টিকাকরণের 'প্রয়োজনীয় হার' ক্রমেই বাড়তে চলেছে দেশে। এদিকে যদি দেশের সকল জনগণকে টিকা দিতে হয় ২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগে, তাহলে মাসে ৩৫.৯ কোটি ডোজ দিতে হবে।
এদিকে একদিন আগেই টিকা সরবরাহ এবং টিকাকরণ নিয়ে বলতে গিয়ে আইসিএমআর প্রধান বলেন, 'টিকার কোনও ঘাটতি নেই। আপনি যদি ভাবেন এক মাসে সবার টিকাকরণ হয়ে যাবে, তবে ঘাটতি বলে মনে হবে। তবে আমাদের জনসংখ্যা আমেরিকার থেকে চার গুণ বেশি। ধৈর্য ধরতে হবে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি অথবা অগস্টের শুরুর দিকেই আমাদের কাছে প্রচুর ডোজ থাকবে। দিনে এক কোটি ডোজ পাওয়া যাবে।'
উল্লেখ্য, ৩১ মে পর্যন্ত দেশে ২১.৫ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। চিন এবং আমেরিকার পর এই সংখ্যা বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ। কোউইনের তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে প্রতি দিন টিকা পাচ্ছেন ৩৮ লক্ষ মানুষ। এদিকে সরকার জানিয়েছে যে জুন মাসে সরকারের হাতে ১.২ কোটি টিকা থাকবে। অর্থাত্, 'প্রয়োজনীয় হার' ২৩.৮ কোটির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে ভারত। অর্থ, জুলাই থেকে টিকার 'প্রয়োজনীয় হার' আরও বাড়তে চলেছে। তখন শুধুমাত্র দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ সম্পন্ন করতে মাসে ২৫.৮ কোটি ডোজ দিতে হবে। তবে যদি জুলাইতেও দেশ 'প্রয়োজনীয় হার' না ছউঁতে পারে, তাহলে অগাস্ট থেকে দেশে প্রতি মাসে ২৭.৪ কোটি ডোজ দিতে হবে। এদিকে কেন্দ্রের দাবি, জুলাইয়ের মাঝামাঝি অথবা অগস্টের শুরু থেকে দিনে এক কোটি ডোজ পাওয়া যাবে। যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে এই 'রান চেজে' ভারত জিততে পারে।