ফের একবার করোনা আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব। চিনের থেকে ক্রমেই বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। এই আবহে ভারতে এখনও পরিস্থিতি গুরুতর না হলেও আগেভাগে সতর্কতা অবলম্বন করছে সরকার। আর তাই এবার দেশের নাগরিকদের দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়ার অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনায় বসল টিকাকরণ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের প্যানেল। এর আগে গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সোমবার ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং অন্যান্য শীর্ষ চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে একাধিক চিকিৎসক এবং আইএমএ সদস্যরা কোভিডের দ্বিতীয় বুস্টার চালুর জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন।
এদিকে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও এখনও প্রথম বুস্টার ডোজ প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে ভারত। বর্তমানে মাত্র ২৮ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক কোভিড প্রতিরোধক বুস্টার ডোজ নিয়েছেন দেশে। এই আবহে এনটিএজিআই সদস্য বলেন, 'টেকনিক্যাল গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে দ্বিতীয় বুস্টার দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তারা কোনও সুপারিশ করার আগে সমস্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য খতিয়ে দেখবেন।'
এখনও পর্যন্ত করোনা টিকা নিয়ে যেসব গবেষণা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, করোনা টিকার বুস্টার দেওয়ার পর ৬ মাস পর্যন্ত শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে। তবে তারপর থেরে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমতে থাকে শরীরের। তবে চতুর্থ টিকা দেওয়া হলে সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফের বেড়ে যায় বলে দাবি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায়। এদিকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি তথ্য বলছে, দেশের ৯৪ কোটি প্রাপ্ত বয়স্কের মধ্যে প্রায় ৭২ কোটি জন এখনও বুস্টার ডোজ নেননি। এদিকে ৭.৫ কোটি জন এখনও করোনার দ্বিতীয় ডোজই নেননি। এদিকে চিনের করোনা ঝড়ে উদ্বেগ বেড়েছে অতিমারি নিয়ে।
এদিকে করোনা রোধে বুস্টার হিসেবে ন্যাজাল টিকার সুপারিশ করেছিল বিশেষজ্ঞ প্যানেল। সরকারও এই টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে। শীঘ্রই বাজারে আসছে ভারত বায়োটেকের তৈরি ন্যাজাল টিকা 'iNCOVACC'। সম্প্রতি কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ আবেদন জানিয়েছেন। সম্প্রতি সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সুপারিশ অনুযায়ী কোভিড রোধে বুস্টার ডোজ হিসেবে ভারত বায়োটেকের তৈরি ন্যাজাল টিকা দেওয়া হবে দেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের। ন্যাজাল টিকা বাজারে এলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বুস্টার নিয়ে অনীহা দূর হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।