অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আবিষ্কৃত ও তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিন ‘কোভিশিল্ড’-এর ট্রায়াল শুরু করার আগে প্রকল্প সম্পর্কে ১১১ পাতার ব্লুপ্রিন্ট প্রকাশ করল উৎপাদক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
প্রথম দফার ট্রায়াল শুরু হওয়ার পরে ব্রিটেনে দুই স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ার জেরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। যাবতীয় জল্পনা নিরসন করতেই ব্লুপ্রিন্ট প্রকাশ করেছে সংস্থা।
কী বলছে ব্লুপ্রিন্ট:
- লক্ষ্য খাদ্য ও ওষুধ বিভাগের নির্দেশিকা মেনে ৫০% কার্যকারিতা যুক্ত ভ্যাক্সিন উৎপাদন।
- ট্রায়ালে ১৫০ জন নিশ্চিত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী থাকতে হবে, যাঁদের টিকা বা ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে।
- ৭৫ জনকে টিকা দেওয়ার পরে প্রাথমিক পর্যালোচনা ও পরীক্ষা করবেন নিরাপত্তা বোর্ডের সদস্যরা।
- ভ্যাক্সিনটি ৫০% কার্যকর প্রমাণিত হলে সরকারের কাছে জরুরিভিত্তিক দ্রুত বাজারজাত করার আবেদন জানানো হবে।
ট্রায়াল পর্যায়ে থাকা কোনও টিকার আগাম পরিকল্পনা প্রকাশের ঘটনা এর আগে বিশেষ শোনা যায়নি। বিশেষ করে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা যে সময় কোভিড টিকা তৈরির দৌড়ে শামিল হয়েছে। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি মডার্না ও ফাইজার সংস্থাও তাদের ভ্যাক্সিন ট্রায়াল সংক্রান্ত ব্লুপ্রিন্ট প্রকাশ করেছে।
গতচ ৮ সেপ্টেম্বর অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, দুই স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের ভ্যাক্সিন ট্রায়াল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এ সম্পর্কে সবিস্তারে তথ্য দিতে অস্বীকার করে সংস্থা। পরে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য দফতর জানায়, স্বেচ্ছাসেবীদের অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে ভ্যাক্সিনের যোগ নেই। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরে ফের ভ্যাক্সিন ট্রায়াল চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থা। যদিও এখনও পর্যন্ত অক্সফোর্ডের কোভিড ভ্যাক্সিন ট্রায়াল তাদের দেশে চালু করার অনুমোদন দেয়নি আমেরিকা সরকার।
আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না পেলেও জানা গিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ভ্যাক্সিন প্রয়োগের পরে এক স্বেচ্ছাসেবীর মেরুদণ্ডে প্রদাহ দেখা দেয়। পরে অবশ্য জানা যায়, ওই ব্যক্তি আগে অজান্তে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস-এ ভুগেছেন এবং তার জেরেই বর্তমান সমস্যা দেখা দিয়েছে।