হাসপাতালের বিরুদ্ধে অক্সিজেন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন করোনায় মৃতার স্ত্রী। আর তারপরেই হাসপাতালের এক ওয়ার্ড বয় তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। ঘটনাটি বিহারের পাটনার।
গত ৮ মে মহিলার স্বামী পাটনার এক বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় প্রাণ হারান। মহিলার অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছা করে ICU-এর অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়েছিল। রোগীর পরিজনরা যাতে হাসপাতালের থেকে চড়া দামে সিলিন্ডার কিনতে বাধ্য হন, তার জন্যই এমন করা হয় বলে জানান ওই মহিলা। আইসিইউ-তে অক্সিজেনের অভাবেই তাঁর স্বামী মারা যান বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা।
মহিলা জানান, মায়াগঞ্জের ওই বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের কোনওরকম যত্নই নেওয়া হচ্ছে না। বেডের চাদর পর্যন্ত বদলানো হয় না। তাঁর স্বামী ICU-তে থাকাকালীন মিসড কল দিয়ে তাঁকে ডাকেন। সেই সময়ে জোর করে মহিলা সেখানে প্রবেশ করেন। তখনই দেখেন যে অক্সিজেন মাস্কের পাইপটি সংযুক্ত করা নেই। মহিলার দাবি, হাসপাতালের সিনিয়র চিকিত্সককে অভিযোগ করলে উলটে উনি হুমকি দিতে শুরু করেন। এমনকী ওয়ার্ড বয় তাঁর স্বামীর সামনেই শ্লীলতাহানি করে।
শুধু তাই নয়, অনেক চড়া দামে রেমডিসিভির জোগাড় করেছিলেন বলে জানান মহিলা। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালের চিকিত্সক রেমডিসিভিরের অর্ধেক ডোজ প্রয়োগ করেন। বাকিটা তিনি নিয়ে নেন। ফেরত দেননি। এরপরেই ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পাটনার রাজেশ্বর হাসপাতালে গত ২৬ এপ্রিল স্থানান্তরিত করা হয়। মহিলার অভিযোগ সেখানেও এক চিকিত্সক আইসিইউ ভিজিটের সময়ে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। এরপর মহিলার অভিযোগ, অক্সিজেন থাকা সত্ত্বেও আইসিইউ-তে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চড়া দামে সিলিন্ডার কিনতে বলা হচ্ছে। আইসিইউ-তে অক্সিজেনের অভাবে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ মহিলার।
এ বিষয়ে কোথায় অভিযোগ দায়ের করবেন তা বুঝতে পারছেন না বলে জানালেন মহিলা। তিনি বললেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডেকে এর বিচারের আর্জি জানাই। আমি বিহার, দিল্লি ও জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে সুবিচারের প্রার্থনা করছি।'