দেশের মানুষের মাস্ক পড়ার অভ্যাস নিয়ে এবার রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করল কেন্দ্র।বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এখনও মাস্ক পড়েন না। পাশাপাশি মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ টিকমতো মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। যেখানে করোনাকে রুখতে মাস্ক পড়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে সরকার, সেখানে যদি মাস্ক পড়া এমন রিপোর্ট আসে, সেটা যে মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়, তা বলাই বাহুল্য।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মোট জনসংখ্যার অর্ধেক যারা মাস্ক পড়েন, তাঁদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ শুধু মুখ ঢেকে মাস্ক পড়েন। নাক ঢাকেন না।তাদের মধ্যে ২০ শতাংশ আছেন, যারা থুতনির নীচে মাস্ক ব্যবহার করেন। ২ শতাংশ এমন আছেন, যারা ঘাড়ের কাছে মাস্ক রাখেন। কেন্দ্রের এই রিপোর্টে স্পষ্ট ধরা পড়েছে, মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ আছেন যাঁরা মাস্ক ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেন।
সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কিভাবে ছড়াচ্ছে, সেবিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারনা দেওয়া হয়েছে।জানানো হয়েছে, এই ভাইরাস বাতাসে ১০ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। সাধারণত হাঁচি বা কাশির থেকে যে ড্রপলেট বের হয়, সেই ড্রপলেটের মধ্যেই এই ভাইরাস থাকে এবং তা দ্রুত এক মানুষের থেকে অন্য মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। শুধু হাঁচি বা কাশির থেকেই নয়, কেউ যদি কথা বলে, তাহলেও সেই থেকে ভাইরাস এক দেহ থেকে অন্য দেহে সংক্রমিত হতে পারে। সেই কারণেই ভাইরাস যাতে সংক্রমিত না হতে পারে, সেজন্য মাস্ক পড়াটা খুবই জরুরি।কেন্দ্রের তরফে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, মাস্ক এমনভাবে পড়তে হবে যাতে নাক বা থুতনির চারপাশে কোনও ফাঁক না থাকে। মাস্ক যদি কাপড়ের তৈরি হয়, তাহলে তা প্রতিদিন ধোয়া খুবই জরুরি।পাশাপাশি মাস্ককে সূর্যের আলোয় ফেলে রাখতে হবে।
একইসঙ্গে সার্জিকাল মাস্ক কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সার্জিকাল মাস্ক কখনো কাচার প্রয়োজন নেই। একটা সার্জিকাল মাস্ক একবারই ব্যবহার করা উচিত।