চিনে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সেই পরিস্থিতিতে ভিড়ের জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দিল কেন্দ্র। বিশেষত প্রবীণ ও কো-মর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম কঠোরভাবে পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র।
বুধবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন করোনা-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ বিশেষজ্ঞ এবং আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলাম। করোনা এখনও শেষ হয়নি। সকলেই আমি সতর্ক থাকতে এবং নজরদারি আরও বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছি। আমরা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৈরি আছি।’
ভিড়ের জায়গায় মাস্ক পরা
আপাতত ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কোনও ঝুঁকি নেওয়ার পক্ষপাতী নয় ভারত। বিষয়টি নিয়ে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভিকে পল বলেন, 'আপাতত সকলের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক না করা হলেও ভিড়ের জায়গায় সেই করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) পল বলেন, 'ভিড়ের জায়গায় মাস্ক ব্যবহার করুন - সেটা ভিতরে হোক বা বাইরে। যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে বা যাঁদের বয়স বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে এটা অনেকটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'
আরও পড়ুন: Covid-19 Surge: চিনে আবার বাড়ছে কোভিড, জিনোম পরীক্ষা করানোয় রাজ্যদের জোর দিতে বলছে কেন্দ্র
বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ
বিষয়টি নিয়ে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) পল বলেন, 'মাত্র ২৭-২৮ শতাংশ মানুষ প্রিকশন ডোজ (বুস্টার ডোজ) নিয়েছেন। মূলত প্রবীণ নাগরিক এবং বাকিদের প্রিকশন ডোজ নেওয়ার আর্জি জানানো হচ্ছে। প্রিকশন ডোজ নেওয়া কার্যকরী। প্রত্যেককে প্রিকশন ডোজ নিতে বলা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: Covid-19 Risk in India: চিনে নতুন করে বাড়ছে কোভিড, ভারতে ভয় কতটা? বললেন AIIMS-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর
চিনের করোনা পরিস্থিতি
সম্প্রতি চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, জাপানের মতো দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দিয়ে করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, যতটা সম্ভব, ততটা দৈনিক ভিত্তিতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে (INSACOG Genome Sequencing Laboratories)।