কোভিড-১৯ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা অন্তত দুই বছরের জন্য মানসিক ব্যাধি, ডিমেনশিয়ার মতো রোগে ভুগতে পারেন বলে দাবি করা হল গবেষণায়। এই গবেষণা অনুসারে মহামারীর প্রেক্ষাপটে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন, অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের তুলনায় কোভিডের পরে উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা প্রায়শই ঘটে, তবে ঝুঁকি সাধারণত দুই মাসের মধ্যে কমে যায়। তবে ল্যানসেট সাইকিয়াট্রি জার্নালে বুধবার প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, মৃগীরোগ, খিঁচুনি এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ব্যাধিগুলির ঝুঁকি ২৪ মাস পরেও থেকে যায় এবং ক্রমেই বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন : ‘কোভিডের সঙ্গে বাঁচার অর্থ এই নয়...’, ৩৫% মৃত্যু বাড়তেই সতর্ক করল WHO
১২.৫ লাখেরও বেশি রোগীর রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে এই ফলাফলগুলি প্রকাশিত করা হয়েছে বলে জানানো হয় রিপোর্টে। রিপোর্টে দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের গভীর ক্ষতি করতে এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে এই ভাইরাস। সেই সংক্রান্ত সম্ভাবনার প্রমাণ যোগ করা হয়েছে এই রিপোর্টে। মহামারীর সময়ে এই গবেষণার জন্য আনুমানিক ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এর আগে অক্সফোর্ড গবেষকরা মার্চ মাসে দেখিয়েছেন যে কোভিডের হালকা সংক্রমণের জেরেও মস্তিষ্কের সংকোচনের হতে পারে। এক দশকের বার্ধক্যের সমান সেই সংকোচন হতে পারে।
মনোরোগবিদ্যার অধ্যাপক এবং ল্যানসেটের গবেষণা পত্রের প্রধান লেখক পল হ্যারিসন বলেন, ‘ফলাফলগুলি রোগীদের এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। কারণ এর থেকে জানা যাচ্ছে যে কোভিড সংক্রমণের সাথে যুক্ত স্নায়বিক অবস্থার নতুন কেস মহামারী কমে যাওয়ার পরেও থাকবে।’ জানা গিয়েছে, গবেষণায় TriNetX ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড নেটওয়ার্ক থেকে ১৪টি স্নায়বিক ও মানসিক রোগ নির্ণয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। সেই গবেষণার ভিত্তিতেই তাঁরা বর্তমান ফলাফলে পৌঁছেছেন। গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়, কোভিডের পরে স্নায়বিক এবং মানসিক রোগ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে কম।