কয়েকদিন আগেই দাবি করা হয়েছিল, এখনই বিদেশে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, আগামিকাল থেকেই কয়েকটি দেশে টিকা পাঠাতে চলেছে ভারত। সেই প্রক্রিয়াকে ‘টিকা মৈত্রী’ নামও দিয়েছেন মোদী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোদী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্যজনিত প্রয়োজনীয়তা পূরণের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব হতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত বোধ করছে ভারত। আগামিকাল থেকে বিশ্বের কয়েকটি দেশে টিকা প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামিদিনেও সেই প্রক্রিয়া চলবে।’
তার আগে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য’ প্রতিবেশী এবং কয়েকটি বন্ধুরাষ্ট্রের অনুরোধে সায় দিয়েছে ভারত। সেইমতো আগামিকাল (বুধবার) থেকে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মায়ানমার এবং সিসেলসকে টিকা পাঠানো হবে। শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানকেও টিকা পাঠাতে চলেছে ভারত। তবে এখনও সেই দু’দেশ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র মেলেনি।
তবে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) কোভিশিল্ড নাকি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন পাঠানো হচ্ছে, সে বিষয়ে সাউথ ব্লকের বিবৃতিতে কিছু জানানো হয়নি। নাম গোপন রাখার শর্তে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা টিকা পাঠানো হবে। জরুরি ভিত্তিতে প্রথমসারির করোনাভাইরাস যোদ্ধা এবং প্রবীণদের টিকাকরণের জন্য মালদ্বীপে বুধবার ১০০,০০০ ডোজ কোভিশিল্ড পাঠানো হচ্ছে।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উপহার হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার ভারতের থেকে ২০ লাখ কোভিশিল্ডের ডোজ পাবে বাংলাদেশ। ভারত থেকে একটি বিশেষ বিমানে করে তা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হবে। বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগ টুইটারে জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজের জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তি আছে বাংলাদেশের। তার পাশাপাশি ভারতের থেকে আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা মিলছে। যা উপহার হিসেবে পাঠাচ্ছে ভারত।
কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজের জন্য গত নভেম্বরে বাংলাদেশের বেক্সিমো ফার্মাকিউটিকাল, বাংলাদেশ সরকার এবং সেরাম চুক্তি করেছিল। আগামী মার্চে সেই টিকা পাঠানো হতে পারে বলে খবর। তবে বিষয়টি নয়াদিল্লির তরফে মুখ খোলা হয়নি।