সংশয় কাটাতে নরেন্দ্র মোদীকে টিকা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন বিরোধী ও বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় সরকারের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে মোদীকে করোনাভাইরাস টিকা দেওয়া হতে পারে। আগামী মার্চ বা এপ্রিলে দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা প্রদান করা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর যখন প্রধানমন্ত্রীর টিকা নেওয়ার সুযোগ আসবে, তখন তিনি টিকা গ্রহণ করবেন। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি নিজেই বলেছেন যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যেভাবে টিকা প্রদান করা হচ্ছে, তা যেন ব্যাহত না করেন রাজনীতিবিদরা। যখন তাঁদের সুযোগ আসবে, তখনই তাঁদের টিকা নিতে বলেন।’
আপাতত দেশজুড়ে প্রথম পর্যায়ের টিকাকরণ চলছে। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাফাইকর্মী-সহ দেশের তিন কোটি প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাকে টিকা প্রদান করা হবে। কিন্তু করোনা টিকার সুরক্ষা নিয়ে একাংশের মনে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে মোদীকেও টিকা প্রদানের দাবি জানান বিরোধীরা। যদিও প্রথম পর্যায়ে সেই সম্ভাবনা যে নেই, তাতে কার্যত সিলমোহর পড়ে গেল।
নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভিকে পল জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথমসারির কর্মীদের পর দ্বিতীয় পর্যায়ের উপর আমরা মূল নজর দিচ্ছি। পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষ এবং সব রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এই পর্যায়ে থাকবেন।'
কেন্দ্রের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের প্রধান জানান, এখন এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রথমসারির অন্যান্য করোনা যোদ্ধাদের টিকা প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তিনি বলেন, 'বিষয়টি এমন নয় যে সব চিকিৎসক বা নার্সদের টিকা প্রদান করা হলে তবেই পরবর্তী পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হবে। ধাপে ধাপে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ কর্মসূচি চলার পাশাপাশি অন্যান্য পর্যায়ের টিকাকরণও শুরু হতে পারে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত জোগান আছে।'