টাঙ্গাইলে এক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য সিরিঞ্জের সূচ ফুটিয়েও টিকার ওষুধ শরীরে না ঢোকানোর যে অভিযোগ উঠেছিল, তার সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ৷
অভিযুক্ত সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশও করা হয়েছে৷ ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, সোমবার ঘটনার তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি৷ তদন্ত কমিটি ওই সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে৷ ওই সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিজের অসুস্থতা এবং টিকা গ্রহণকারীদের চাপ বেশি থাকায় এমনটি করেছেন বলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলে জানান তিনি৷ তিনি বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর সোমবার বিকেলেই ওই সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে৷’
সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন রবিবার সকালে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ নম্বর বুথে টিকা নিতে আসা লোকজনের শরীরে সূচ ফোটালেও টিকার ওষুধ না ঢুকিয়েই সিরিঞ্জ ফেলে দিচ্ছিলেন৷ টিকা দিতে লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন ব্যাপারটা লক্ষ্য করে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামিম হোসেনকে জানান৷
ওই আবাসিক মেডিকেল অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুড়ি থেকে পরিত্যক্ত সিরিঞ্জগুলো তুলে ঘটনার সত্যতা পান৷ ২০টি সিরিঞ্জের ভিতর টিকার ওষুধ দেখতে পান এবং বিষয়টি তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানান৷ এই অভিযোগ পাওয়ার পরপরই টাঙ্গাইলের ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. শামিম হুসাইন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিভিল সার্জন৷