ভারতে উৎপাদিত করোনাভাইরাস টিকার কার্যকারিতা নিয়ে ‘ভুল ধারণা ও আতঙ্ক’ দূর করতে দেশব্যাপী সচেতনতা প্রচারে নামছে বিজেপি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় সূত্র জানাচ্ছে, দেশবাসীর মনোবল বাড়াতে ভ্যাক্সিন ট্রা বিজেপি-র শীর্ষস্থানীয় নেতা-মন্ত্রীরা স্বতঃপ্রণোদিত অংশগ্রহণ করবেন কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দল। পাশাপাশি, ভারত বায়োটেক উৎপাদিত কোভ্যাক্সিন টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দলের কয়েক জন নেতা।
প্রসঙ্গত, সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক উৎপাদিত কোভ্যাক্সিন টিকা দুটি আপৎকালীন নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য অনুমোদন করেছে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল।
ভারতীয় জনতা পার্টির অন্য এক নেতা জানিয়েছেন, ‘দলীয় কর্মীদের নিয়ে গঠিত একাধিক ছোট দলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ও কর্মসূচি এবং জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির প্রচারের আধারেই ভ্যাক্সিন সম্পর্কে গণসচেতনতা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। বিরোধী দলগুলি বিষয়টির রাজনীতিকরণ করার জন্য টিকাকরণ নিয়ে মানুষের মনে অমূলক ভীতি ও সংশয় ছড়াচ্ছে। আমরা দেখব যাতে এই সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা ও দুশ্চিন্তা দূর করা যায়।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘দলের শীর্ষ নেতারা ভ্যাক্সিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করবেন কি না, তা এখনও ঠিক হয়নি। এ সম্পর্কে অতিরিক্ত ঝুঁকিবহুল গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কেন্দ্রীয় নীতি অনুসরণ করা হবে। দলীয় মুখপাত্র আর পি সিংয়ের মতো কয়েক জন নেতা সশরীরে ভ্যাক্সিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।’
উল্লেখ্য, বিজেপি-র প্রচার অভিযানের ঠিক আগেই ভারতে উৎপাদিত কোভিড ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। শুক্রবার আরজেডি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদব বলেন, টিকাকরণ প্রকল্পে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রথম টিকার ডোজ যেন মোদীকেই দেওয়া হয়। তাঁর পরে অন্যরা কোভিড টিকা নেবেন বলে দাবি জানিয়েছেন তেজ প্রতাপ।
এর আগে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি তথা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বিতর্ক উস্কে দিয়ে মন্তব্য করেন. তিনি কিছুতেই ‘বিজেপি ভ্যাক্সিন’ নেবেন না। তাঁর দাবি, ওই ভ্যাক্সিন প্রথমে বিজেপি সদস্যদের দেওয়া হোক।
ভারত বায়োটেক উৎপাদিত কোভি টিকা ব্যবহারের অনুমোদন নিয়ে তার আগে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। তাঁদের মতে, বিধি বহির্ভূত ভাবে ওই টিকাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিরোধীদের বিবিধ অভিযোগের জবাবে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা টুইটারে লেখেন, ‘বরাবরই আমরা দেখেছি, ভারত যখনই জনহিতকর প্রকল্পে অসাধারণ সাফল্য পায় তখনই কংগ্রেস আজব সব তত্ত্ব খাড়া করে সেই সাফল্যকে খাটো করার চেষ্টা করে। যত তাঁরা বিরোধিতা করেন, ততই তাঁদের মুখোশ খসে পড়ে. এর সাম্প্রতিক উদাহরণ হল কোভিড ভ্যাক্সিন।’