অনুমোদন তো মিলেছে। কিন্তু কবে থেকে ভারতে শুরু হবে করোনাভাইরাসের টিকাকরণ প্রক্রিয়া, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হল, জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদনের ১০ দিন পর থেকেই দেশে করোনাভাইরাসের টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালু করতে প্রস্তুত আছে কেন্দ্র। সেইমতো আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনা টিকা প্রদান শুরু হতে চলেছে।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘ড্রাই রান নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া মিলেছে, তার উপর ভিত্তি করে সরকার জানিয়েছে যে জরুরি ভিত্তিতে করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদনের ১০ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ টিকাকরণ চালু করতে প্রস্তুত আছে সরকার।’
গত রবিবারই (৩ জানুয়ারি) জরুরি ভিত্তিতে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এবং ভারত বায়োটেককে করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভি জে সোমানি। তার একদিন আগে থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল করোনা টিকার ‘ড্রাই রান'। অর্থাৎ আসল করোনা টিকা ছাড়া পুরো টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মহড়া চালানো হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও সেই মহড়া চলছে। এছাড়াও গত বছরের ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বর চার রাজ্যের আটটি জেলায় চলেছিল টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মহড়া। সেই প্রস্তুতি-পর্ব থেকেই যাবতীয় প্রস্তুতি খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে।
সেইমতো দেশের চারটি জায়গায় প্রধান প্রাথমিক টিকা কেন্দ্র থাকছে। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৩৭ টি কেন্দ্রে টিকা পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘কারনাল, মুম্বই, চেন্নাই এবং কলকাতায় জিএমএসডি নামে চারটি প্রাথমিক টিকা কেন্দ্র থাকবে। দেশে ৩৭ টি রাজ্য টিকা কেন্দ্র থাকছে। সেখানে টিকা রাখা হবে এবং আরও (তৃণমূল স্তরে) বণ্টন করা হবে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা পাঠানোর দায়িত্বে থাকবে রাজ্যগুলির উপর। সেখানে আইস বক্সের মতো সরঞ্জামে উপকেন্দ্রে টিকা নিয়ে যাওয়া হবে। কতগুলি টিকা রাখা হয়েছে, তাপমাত্রার কত আছে, সেই বিষয়টির উপর ডিজিটাল উপায়ে নজর রাখা হবে।