অনুমোদন পাওয়ার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। অবশেষে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) সঙ্গে ‘পারচেজ অর্ডার’-এ স্বাক্ষর করল কেন্দ্র। অর্থাৎ এবার সেরামের থেকে কেনা হতে চলেছে কোভিশিল্ড।
গত ৩ জানুয়ারি জরুরি ভিত্তিতে কোভিশিল্ড ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যে করোনাভাইরাস টিকা তৈরি করেছে ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকা। ভারতে সেই টিকা উৎপাদন করছে সেরাম। তারপর সোমবার সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১.১ কোটি ডোজ কিনতে চলেছে কেন্দ্র। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই টিকা বণ্টনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ডোজপিছু ২০০ টাকায় টিকা কেনার চুক্তি হয়েছে। সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, আগামিকাল (মঙ্গলবার) সকাল থেকে কোভিশিল্ডের টিকা বণ্টন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
যদিও প্রাথমিকভাবে গত নভেম্বরে সেরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, ডোজপিছু ২৫০ টাকায় (৩.৪ ডলার) কেন্দ্রীয় সরকারকে টিকা বিক্রি করা হবে। খোলা বাজারে সেই দাম পড়বে ১,০০০ টাকা। যদিও বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, কোভিশিল্ডের দাম কমানোর জন্য সেরামের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। তার জেরে বিলম্বিত হয়েছে ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। সোমবার সকালের দিকেই এক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেরামের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন শীর্ষকর্তারা। প্রতিটি ডোজের দাম ২৫০ টাকা কম করার লক্ষ্যেই সেই দর কষাকষি চলছিল বলে জানিয়েছিলেন ওই সূত্র।
এমনিতে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হতে চলেছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০ কোটি মানুষকে টিকা প্রদান করা হবে। সর্বপ্রথম টিকা পাবেন প্রায় তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী-সহ প্রথমসারির করোনাভাইরাস যোদ্ধারা। তারপর পঞ্চশোর্ধ্ব মানুষ এবং কো-মর্বিডিটি থাকা ৫০ বছরের থেকে কম বয়স্ক মানুষকে টিকা প্রদান করা হবে।