কোভ্যাক্সিন নিয়ে আপত্তি জানালেন ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস সিং দেও। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যবাসীকে ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাস টিকা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানোর ক্ষেত্রে তিনি নিজেই ‘আত্মবিশ্বাসী’ নন। কারণ এখনও কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশিত হয়নি।
দেও বলেন, ‘কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে (ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া)। (কিন্তু) পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ছাড়া সেটির ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’ তাহলে কি ছত্তিশগড়ের মানুষকে কোভ্যাক্সিন প্রদান করা হবে না? সে প্রসঙ্গে কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মতে, রাজ্যে এটার অনুমোদন দেওয়া উচিত নয়। মানুষকে এই টিকা নিতে বলার বিষয়ে আমি নিজেই এখনও পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসী নই।’
গত রবিবার (৩ জানুয়ারি) জরুরি ভিত্তিতে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এবং ভারত বায়োটেককে করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন ডিসিজিআই ভি জে সোমানি। তারপর থেকে তথ্য বিতর্কে জর্জরিত হয়ে আছে কোভ্যাক্সিন। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পর্যাপ্ত তথ্য ছাড়াই অনুমোদন দেওয়া হওয়ায় প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও কেন্দ্রের আশ্বাস, পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়ার পরই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সেই বিতর্ক নিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) প্রধান বলরাম ভার্গব বলেন, ‘ক্নিনিকাল ট্রায়াল মোডে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার অর্থ হল যে (টিকা প্রদানের আগে) সংশ্লিষ্ট অংশগ্রহণকারীর সম্মতি নিতে হবে। একইসঙ্গে অংশগ্রহণকারীর স্বাস্থ্যের উপর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে।' আইসিএমআর - ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এনআইভি) সঙ্গে যৌথভাবে সেই টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক।
তারইমধ্যে মধ্যপ্রদেশের বেসরকারি পিপলস মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের উপাচার্য রাজেশ কাপুর জানান, কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে যোগ দেওয়ার ১০ দিন পর এক স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ইতিমধ্যে ভিসেরা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে সরকারি আধিকারিকদের সন্দেহ, বিষক্রিয়ায় ওই স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে।