কোভ্যাক্সিন নিয়ে তথ্য-বিতর্ক এখনও অব্যাহত। তারইমধ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) প্রধান বলরাম ভার্গব জানালেন, ক্নিনিকাল ট্রায়াল রূপে কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সেই টিকা প্রদানের আগে সংশ্লিষ্ট অংশগ্রহণকারীর অনুমতি লাগবে।
মঙ্গলবার ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে ভার্গব বলেন, ‘ক্নিনিকাল ট্রায়াল মোডে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার অর্থ হল যে (টিকা প্রদানের আগে) সংশ্লিষ্ট অংশগ্রহণকারীর সম্মতি নিতে হবে। একইসঙ্গে অংশগ্রহণকারীর স্বাস্থ্যের উপর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে। আইসিএমআর - ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এনআইভি) সঙ্গে যৌথভাবে সেই টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক।
কী পদ্ধতি মেনে অনুমোদন দেওয়া হয়, তার ব্যাখ্যায় ভার্গব জানান, বর্তমানে মহামারীর পরিস্থিতি, উচ্চ মৃত্যুহার, বৈজ্ঞানিক উপায়, নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতির অভাবের মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করে দুই টিকাকে অনুমোদনের সুপারিশ করেছিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) বিশেষজ্ঞ কমিটি। তার ভিত্তিতে অনুমোদন পেয়েছে দুই টিকা। যা একেবারে আইন মেনেই হয়েছে বলে দাবি করেন আইসিএমআর প্রধান।
গত রবিবার (৩ জানুয়ারি) জরুরি ভিত্তিতে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এবং ভারত বায়োটেককে করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভি জে সোমানি। তারপর থেকে তথ্য বিতর্ক জর্জরিত হয়ে আছে কোভ্যাক্সিন। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পর্যাপ্ত তথ্য ছাড়াই অনুমোদন দেওয়া হওয়ায় প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
সে বিষয়ে ভার্গব বলেন, ‘তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চললেও মহামারী পরিস্থিতিতে সুরক্ষা এবং অনাক্রম্যতাজনিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। প্রথম দু'পর্যায়ের ট্রায়ালে যে অনাক্রম্যতাজনিত তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা কার্যকারিতার বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য ডিসিজিআইকে সুপারিশ করেছিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। এখন আমাদের হাতে দুটি টিকা আছে।’