শিঁকে ছিড়ল না কোভ্যাক্সিনের ভাগ্যে। জরুরি ভিত্তিতে ভারতে ব্যবহারের অনুমোদন পেল না ভারত বায়োটেকের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’। বরং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও গতি আনার নির্দেশ দিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) বিশেষজ্ঞ কমিটি। আবারও ভারতীয় টিকার আর্জি বিবেচনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কার্যকারিতা মূল্যায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভারত বায়োটেকের আবেদন খতিয়ে দেখার সময় বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ে বড়সড় ক্নিনিকাল ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। ২৫,৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ২২,০০০ জনকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কো-মর্বিডিটি রোগীও আছেন। যা সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরলেও কার্যকারিতার এখনও প্রমাণ মেলেনি।
এক সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই বলেছেন, ‘বিস্তারিত আলোচনার পর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও গতি নিয়ে আসার জন্য সংস্থাকে (ভারত বায়োটেক) সুপারিশ করেছে কমিটি। সীমাবদ্ধভাবে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদনের আর্জি আবারও খতিয়ে দেখার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কার্যকারিতা মূল্যায়নের কথাও বলা হয়েছে।’ আপাতত ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভি জে সোমানিকে সেই সুপারিশ পাঠিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
গত ডিসেম্বরেই সুরক্ষা এবং অনাক্রম্যতা সংক্রান্ত তথ্য পেশ করেছিল ভারত বায়োটেক। সঙ্গে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়ালের গুরুতর ‘বিরূপ’ ঘটনা এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্যও দেওয়া হয়েছিল। আপাতত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চলছে। যা ভারতের প্রথম সম্ভাব্য করোনা টিকা।
কোভ্যাক্সিন মূল্যায়নের পরীক্ষা আপাতত টপকাতে না পারলেও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস টিকা ‘কোভিশিল্ড’-কে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদনের সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে সেই টিকা তৈরি করেছে অক্সফোর্ড। ভারতে যে টিকার উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)। নিম্ন ও মধ্য আয়বিশিষ্ট দেশের জন্য ১০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ তৈরি করার চুক্তি করেছে ভারতীয় সংস্থা। ডিসিজিআইয়ের ছাড়পত্র পেলেই প্রথম করোনা টিকা হিসেবে ভারতে শুরু হবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া।