নয়া বছরের শুরুতেই মিলতে পারে করোনাভাইরাস টিকা। এমনই ইঙ্গিত দিলেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভি জে সোমানি।
কেন্দ্রীয় জৈবপ্রযুক্তি দফতর আয়োজিত একটি ওয়েবমিনারে বৃহস্পতিবার সোমানি জানান, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে এই কঠিন সময় গবেষণা সংস্থাগুলি সামনে এগিয়ে এসেছে। সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমাদের হাতে কিছু নিয়ে একটা শুভ নববর্ষ শুরু হতে পারে। আমি এমনটাই ইঙ্গিত দিতে পারে।’
জরুরি ভিত্তিতে করোনা টিকা ব্যবহারের জন্য ফাইজার-এনবায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এবং ভারত বায়োটেকের তরফে যে আর্জি জানানো হয়েছে, তা আজ (শুক্রবার) বৈঠকে বসতে চলেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) বিশেষজ্ঞ কমিটি। এখনও যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা পর্যালোচনার জন্য সংস্থাগুলির জন্য এটি বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক।
সোমানি জানান, মহামারীর পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতিটি আবেদনের ক্ষেত্রেই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ তথ্যের জন্য অপেক্ষা না করেই অনুমোদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। তিনি জানান, ‘তথ্যের কার্যকারিতা সংক্রান্ত সুরক্ষার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে না। একমাত্র বিষয় যে নিয়ন্ত্রকরা আংশিক তথ্য গ্রহণ করছে।’
দ্রুত আবেদন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেজন্য নিয়ন্ত্রকের প্রশংসা করেছেন প্রতিনিধিরা। তার ফলে বৃহদাকারে টিকাকরণের প্রস্তুতি করা সেরে রাখা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। ওয়েবমিনারে সেরামের শালিনগাম জানান, ইতিমধ্যে ৭.৫ কোটি টিকার ডোজ মজুত করেছে সেরাম। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সেই সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্বের কারও কাছে এত টিকার ডোজ নেই বলে দাবি করেছে সেরাম।