এবার থেকে কি কোভিশিল্ডে শুধুমাত্র একটি ডোজ দেওয়া হবে? একটি মহল থেকে এমনই জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেই মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল, বিষয়টি নিয়ে নাকি ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র। যদিও সেই কোভিশিল্ডের একটি ডোজের তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হল।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে বলা হল, ‘কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধানের মধ্যে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। তা শুধুমাত্র দুটি ডোজে দেওয়া হবে।' নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ভি কে পল বলেন, 'কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়ার ১২ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজের মধ্যে যে ব্যবধান আছে, তার কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। চার থেকে ছয় সপ্তাহের দুটি ডোজ দেওয়া হবে।’
প্রাথমিকভাবে ২৮ থেকে ৪২ দিনের (চার থেকে ছয় সপ্তাহ) ব্যবধানে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ প্রদান করা হত। কিন্তু সরকারি প্যানেলের পরামর্শে মার্চে সেই সময়সীমা পালটে চার-আট সপ্তাহ করা হয়। কিন্তু গত মাসে সরকারি প্যানেলের তরফে সেই ব্যবধান বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ (তিন থেকে চার মাস) করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তা মেনে নেয় ন্যাশনাল টেকনিকাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিএজিআই) এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তার ফলে আপাতত কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়ার ১২-১৬ সপ্তাহ (তিন থেকে চার মাস) পর মিলছে দ্বিতীয় ডোজ। একাংশের অবশ্য প্রশ্ন, জোগানের অভাবে যে টিকার আকাল দেখা দিয়েছে, তা সামলানোর জন্যই ডোজের ব্যবধান পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে? যদিও কেন্দ্রের তরফে সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
তারইমধ্যে মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, জুলাইয়ের মাঝামাঝি বা অগস্টে দেশে যে পরিমাণ টিকা থাকবে, তা দিয়ে দিনে এক কোটি মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া যাবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিস অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) প্রধান বলরাম ভার্গব বলেন, ‘টিকার অপ্রতুলতা নেই। জুলাইয়ের মাঝামাঝি বা অগস্টে আমাদের হাতে যা টিকা থাকে, তাতে দৈনিক এক কোটি প্রতিষেধক দেওয়া হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো দেশবাসীকে টিকা প্রদান করতে পারব।’