সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড। আর অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। ভারতে এই মুহূর্তে এই দুটি করোনা টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে। চালু হবে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি।
তবে, এই কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন নিয়েই অনেকে বিভ্রান্ত। কোন টিকাটি গ্রহণ করা উচিত্, তা স্থির করতে পারছেন না কেউ কেউ। আর সেই বিভ্রান্তিই এবার দূর করল কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছে, 'দুটি টিকার মধ্যে কোনও সরাসরি বৈজ্ঞানিক তুলনা নেই। তাই একটির তুলনায় অন্যটি ভালো, এমন কেউ বলতে পারবেন না। দুটিই করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। আর সংক্রমণ হলেও শারীরিক অসুস্থতা গুরুতর হওয়া থেকে রক্ষা করে। ভ্যাকসিন সেন্টারে যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটাই নিতে পারেন।'
দুটি টিকাই প্রয়োগ করা হচ্ছে দেশজুড়ে। কিন্তু সবসময়ে হয় তো সব টিকা কেন্দ্রে দুটি অপশনই থাকছে না। জোগান অনুযায়ী যে কোনও একটি দিয়ে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গত সপ্তাহে টিকা নেওয়ার রেজিস্ট্রেশনের সময়ে ভ্যাকসিন পছন্দ করার অপশনও যোগ করা হয়েছে Co-Win পোর্টালে।
কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?
বিরল ক্ষেত্রে কোভিশিল্ড গ্রহণের পর গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোভিশিল্ড প্রয়োগের পর ২৬ টি ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট এসেছে।
জানুয়ারি থেকে করোনা টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে মোট ২৩,০০০ জনের ক্ষেত্রে টিকা গ্রহণের পর একটি বেশি শারীরিক অসুস্থতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে। মোট ৭০০টি ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১৮ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন। অর্থাত্ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা খুবই নগণ্য। তার চেয়ে উপকারিতা ঢের বেশি।
বিশদে দুটি ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতে এইখানে ক্লিক করুন।