সমস্ত দুরারোগ্য ব্যাধি এবং মোবাইলের বিকিরণ থেকে বাঁচতে ভরসা গোবর। কারণ গোবর বিকিরণ–রোধী। মঙ্গলবার এই দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভভাই কাঠিরিয়া। এদিন তিনি একটি চিপ প্রকাশ করেন। তাঁর দাবি, গোবর তথা ঘুঁটে থেকে নির্মিত এই চিপ মোবাইলের ভেতরে রাখলে তা বিকিরণের মাত্রা কমিয়ে দেবে। গোবরের মধ্যে সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে এটা প্রমাণিত বলেও তিনি দাবি করেন।
দেশব্যাপী ‘কামধেনু দীপাবলী অভিযান’–এর সূচনা করার পর তিনি এই ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য, সারা দেশে গোবরজাত পণ্যের প্রচার করাই এই অভিযানের লক্ষ্য। এদিন তিনি একটি চিপ তুলে ধরেন। রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যানের দাবি, চিপটি বিশুদ্ধ গোবরে তৈরি। গোবরে পদ্ম হলে, বিজ্ঞানের দৌলতে গোবরে চিপ তৈরি অসম্ভব নয়।
কিন্তু, এই চিপের সঙ্গে তেজস্ক্রিয়তার সম্পর্ক কী? বল্লভভাই কাঠিরিয়ার বক্তব্য, মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে সুরক্ষা দিতে পারে এই চিপ। মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে। ফোনে কথা বলার সময় শরীরে তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। গোবরে প্রস্তুত চিপ ফোনে ব্যবহার করলে, সেই তেজস্ক্রিয়তা শরীরের বিশেষ ক্ষতি করতে পারবে না। ক্ষতিকর প্রভাব রুখে দেবে।
এই অভিনব চিপের নাম ‘গৌসত্ব কবচ’। রাজকোটের শ্রীজি গৌশালা এই চিপ তৈরি করেছে। ২০১৯ সালে স্থাপিত হয় রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ। গরুর সংরক্ষণ, সুরক্ষাই আয়োগের লক্ষ্য। এটি মৎস্য, পশুপালন ও গবাদি পশু মন্ত্রকের অন্তর্গত। গোবরজাত পণ্যের ব্যবহারে সবাইকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই তারা শুরু করেছে প্রচার অভিযান।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিনেতা অক্ষয় কুমারের প্রসঙ্গও তোলেন রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান। অক্ষয় কুমার সম্প্রতি দাবি করেন, গোমূত্রের শারীরিক উপকারিতা রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে বল্লভভাই বলেন, ‘অক্ষয় কুমার নিজেও গোমূত্র পান করেছেন। আপনারাও খেতে পারেন। এটা ওষুধ। কিন্তু আমরা আমাদের বিজ্ঞানকে ভুলে গিয়েছি।’ এবারের দিওয়ালির সময় সকলকে চিনের তৈরি বাজি না ফাটাতে অনুরোধ করেছেন কাঠিরিয়া।