বাংলাদেশের ব্রাক্ষণবেড়িয়া অঞ্চলে দোকানে মাংস বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল এক কায়কোবাদ নামের এক যুবক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এক ব্যক্তির গোয়াল থেকে গরু চুরি করে সেই গরুর মাংস অন্য এক দোকানে বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় গাড়ি থেকে পড়ে যাওয়া রক্তের ফোটা দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় ও ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে।
বাংলাদেশের ব্রাক্ষণবেরিয়া অঞ্চলে স্থানীয় সময় রাত ৩টে নাগাদ রাস্তায় নৈশ কালীন পাহারায় কিছু পুলিশ ছিলেন। হঠাৎই তাঁদের সামনে দ্রুত বেগে চলে যায় একটি গাড়ি। তাঁরা খেয়াল করেন, রাস্তায় ফোটা ফোটা রক্তের দাগ। এরপর তাঁরা সেই গাড়ির অবস্থান জানার চেষ্টা করলে জানতে পারেন, সেই গাড়িটি এক স্থানীয় কসাইয়ের বাড়িতে আছে। পুলিশ সেই কসাইয়ের বাড়ি থেকে গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করে।
সেই চালককে গ্রেপ্তার করে আসল ঘটনা জানতে পারলে পুলিশ ও ওই এলাকার মানুষ রীতিমতো অবাক হয়ে যান।
ওই গাড়ি থেকে ধৃত যুবক কায়কোবাদ স্থানীয় এক ব্যক্তির গোয়াল থেকে প্রথমে গরু চুরি করেন। তারপর সেই গরুর মাংস বিক্রি করার উদ্দেশ্যে কসাইখানার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধৃত কায়কোবাদের কাছ থেকে ছুরি, চাপাতি, ও অনেক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত রবিবার, ১২ জুন বাংলাদেশ স্থানীয় সময় রাত ১টা নাগাদ স্থানীয় এক ব্যক্তির গোয়াল থেকে গরু চুরি করে ওই ব্যক্তির প্রতিবেশীর বাড়িতে গরুটিকে কাটা হয়। তারপর স্থানীয় এক কোসাইকে ওই মাংস বিক্রি করার কথা ভাবা হয়। ওই কসাই এখন ফেরার।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, কায়কোবাদের কাছ থেকে মোট ১০৫ কেজি পরিমাণ মাংস উদ্ধার হয়েছে তার আনুমানিক বাজার মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৭৩ হাজার টাকা।