এই মার্চ মাস শেষ হতে আর ৯ দিন বাকি। তারপর এপ্রিল মাসে মাদুরাইতে শুরু হবে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস। সেখানে শূন্যতা কাটাতে বঙ্গ–সিপিএমের জন্য যেমন থাকবে বিশেষ টোটকা তেমনই জাতীয় স্তরে সিপিএম যাতে খাপ খুলতে পারে তার দিশা দেওয়া হবে। এই পার্টি কংগ্রেসের তোড়জোড় এখন চলছে জোরকদমে। আর এখানেই থাকছে বিশেষ চমক। সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস এবার তারকাখচিত হতে চলেছে বলে খবর। সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসের এবার দক্ষিণী তারকারা উপস্থিত থাকবেন। এখানে সুপারস্টার বিজয় সেতুপতি মঞ্চ আলোকিত করবেন। আর সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকবেন প্রকাশ রাজ বলে সূত্রের খবর।
বঙ্গ–সিপিএমের অঙ্গ শোভায় বহু তারকা আছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মাদুরাইতে যেতে পারেন। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন আছে বাংলায়। আর এই বছরই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এইসব নির্বাচনে তারকা ব্যক্তিত্বরা প্রার্থী হবেন সেটা আগে থেকেই বোঝা গিয়েছে। তবে এই সেলিব্রেটি প্রার্থী আজকে নয়, বহুদিন ধরেই দিয়ে আসছে সিপিএম। কিন্তু এবার রাজনৈতিক খরা কাটাতে এই পথকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে তারা বলে সূত্রের খবর। আগামী ২ থেকে ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সিপিএমের ২৪তম পার্টি কংগ্রেস। দলের নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ আসর এখন তারকা খচিত হতে চলেছে মাদুরাইতে।
আরও পড়ুন: আবার বড় ভাঙন শুভেন্দুর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে, চার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে
এদিকে আগে দক্ষিণের রাজ্যে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস হয়েছে। পার্টি কংগ্রেস হয়েছে কোয়ম্বাটুর, কোঝিকোড়, বিশাখাপত্তনম, হায়দরাবাদ এবং কান্নুরে। এবারের পার্টি কংগ্রেস হতে চলেছে মাদুরাইতে। অর্থাৎ টানা ৬ বার পার্টি কংগ্রেস হতে চলেছে দক্ষিণ ভারতেই। কেরল রাজ্যে এখনও সিপিএমের নেতৃত্বাধীন এলডিএফ সরকার ক্ষমতাসীন। আর সেভাবে ভূ–ভারতে সিপিএমের তেমন কোনও বড় উপস্থিতি নেই। ত্রিপুরা আগেই হাতছাড়া হয়েছে। বাংলা তার আগেই হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। যেখানে শূন্যতা কাটাতে পারেনি সিপিএম।
অন্যদিকে সারা দেশে এখন সিপিএমের সাংসদ সংখ্যা ৪। কিন্তু এই দলেরই ইউপিএ–১ সরকারের জমানায় ৬০টি সাংসদ ছিল সারা দেশে। এখন যে চারটি সাংসদ আসন হাতে রয়েছে বামেদের তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তামিলনাড়ুর মাদুরাই। লোকসভা নির্বাচনে এই আসনটি ছিল বামেদের দখলেই। এখন বামেরা চাইছে আগামী নানা নির্বাচনে তাদের সাফল্য ফিরে পেতে। কিন্তু সেখানেই রয়েছে সাংগঠনিক দুর্বলতা। কেরল এবং ত্রিপুরার বাইরে তামিলনাড়ুতে কিছুটা সিপিএমের সাংগঠনিক শক্তি আছে। বাকি সারা দেশে তেমন কোনও প্রভাব নেই। বাংলাতেও নেই। তাই সাংগঠনিক শক্তিকে মজবুত করতেই পার্টি কংগ্রেসের জন্য মাদুরাইকে বেছে নিয়েছেন লালপার্টির নেতারা।