বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সিপিআইএম। বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী তথা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতারি এবং তাঁর জামিন খারিজ করে দেওয়ার আবহে বামেদের তরফে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশে যে সব ঘটনা ঘটছে, তাতে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। অথচ ‘মৌলবাদী শক্তিকে’ রোখার জন্য মহম্মদ ইউনুস সরকার কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিপিআইএম। বামেদের দাবি, অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ করা উচিত, যাতে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করা যায়। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে ভারতে যেভাবে ‘হিন্দুত্ববাদীদের বর্বর এবং উস্কানিমূলক প্রচার’ চলছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিপিআইএম।
বাংলাদেশ সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না, উদ্বিগ্ন CPIM
বৃহস্পতিবার সিপিআইএমের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের যে অবস্থা, তা উদ্বেগের। এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যা তাঁদের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে। সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করতে যখন মৌলবাদী সংগঠন সক্রিয় আছে, তখন ধর্মীয় হামলা ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার এখনও কোনও কঠোর পদক্ষেপ করেনি। শান্তি এবং ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে কোনওরকম বিলম্ব ছাড়াই বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে।’
বাংলাদেশের ঘটনায় ভারতে ‘হিন্দুত্ববাদীদের বর্বর প্রচার’
সেইসঙ্গে সিপিআইএমের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি বর্বর এবং উস্কানিমূলক প্রচারে লিপ্ত হচ্ছে। ওদের মোটিভ (উদ্দেশ্য) নিয়ে সন্দেহ আছে, কারণ এই শক্তিই এখানে (ভারতে) মুসলিমদের উপরে অত্যাচার এবং সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার ঘটনার জন্য দায়ি। ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদমূলক রাজনীতি বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।’
‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সংগঠন আর ভারতে হিন্দুত্ববাদী শক্তি’? তোপ BJP-র
আর সিপিআইএমের সেই মন্তব্যেই চটে গিয়েছে নেটপাড়ার একাংশ। সিপিআইমের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছেন। সিপিআইএমের বিজ্ঞপ্তির ছবি পোস্ট করে বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, 'এটা কিউট। বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে দয়া করে সিপিআইএমের বিজ্ঞপ্তি পড়ুন। বাংলাদেশে মৌলবাদী সংগঠন। আর ভারতে হিন্দুত্ববাদী শক্তি। ওরা বাংলাদেশের মৌলবাদীদের নামও নিতে পারে না। ভাসুর হয় মনে হয় তাই নাম নেওয়া যাবে না। নিজেদের আসল রং দেখিয়ে দিল বামেরা।'
CPIM কী বলল?
যদিও সেই পালটা আক্রমণের মুখে সিপিআইএমের তরফে আপাতত কিছু বলা হয়নি। তারইমধ্যে সিপিআইএম নেত্রী তথা এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদিকা দীপ্সিতা ধর স্পষ্ট বলেছেন, ‘পৃথিবীর সর্বত্র সংখ্যালঘুর ঘর সুরক্ষিত হোক। প্যালেস্তাইন, ভারত অথবা বাংলাদেশ - নেভাও ঘৃণাও আগুন, মৌলবাদের আগুন, জ্বালো ভালোবাসার আলো, সম্প্রীতির আলো।’