সম্প্রতি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে বলেছিলেন, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী এবং কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্যের ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে অবস্থান ঠিক কী? এই নিয়ে আজ, শুক্রবার থেকে নয়াদিল্লিতে তিনদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বসেছে সিপিআইএম। তবে এই বৈঠকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে পার্টির রাজনৈতিক রণকৌশল নিয়েও আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই জোট নিয়ে ধাক্কা খেয়েছে বেঙ্গল লাইন। তাই এখন একলা চলার নীতি নিয়েছে তাঁরা। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে কেরলের কান্নুরে হবে সিপিআইএমের পার্টি কংগ্রেস। সেখানে ঠিক হবে দলের গাইডলাইন। কিন্তু গত বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, ভোট শেষ, জোট শেষ। তাই তারপর থেকে উপনির্বাচন এবং নির্বাচনে একলা চলেছে লালপার্টি। এবার পার্টির রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক খসড়া প্রস্তাবের বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসছে কেন্দ্রীয় কমিটি। সেখানে দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী জোট গঠন হলে তাতে তাঁরা কিভাবে থাকবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বৈঠকে।
কিন্তু বাংলায় দল কোন পথে এগোবে সেটাও এখানে তুলে ধরা হবে। তাতে বিতর্ক বাঁধতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কেরল–ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলা হবে কিনা তা নিয়েও জটিলতা রয়েছে। আর বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোন পথে হাঁটা হবে সেটাও বিবেচ্য বিষয়। সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকলে আর রাজ্যভিত্তিক পৃথক অবস্থান নিয়ে চললে দ্বিচারিতার অভিযোগ উঠতে পারে। জনমানসেও প্রশ্ন উঠবে। তাই অবস্থান নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
আবার দলের সমস্ত পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। আজ সেই বিষয়টি উঠতে পারে। তবে মূল অ্যাজেন্ডা থাকছে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে জোটে থাকা নিয়ে এবং রাজ্যগুলিতে কোন অবস্থান নিয়ে চলা হবে তা নিয়ে। এই বৈঠকের একদিন আগেই নয়াদিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন বঙ্গ–সিপিআইএম নেতারা। সেখানে এখন জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।