কোভিড অতিমারী নিয়ে অতিষ্ঠ ভারতে কি এবার চিন থেকে হানা দিতে চলেছে আরও এক মারাত্মক জীবাণু? ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর বিজ্ঞানীরা সে রকমই পূর্বাভাস করছেন।
আর্থ্রপ় বা সন্ধিপদ বিশিষ্ট প্রাণী বাহিত এই CQV ভাইরাস, যাকে সাধারণে ক্যাট কে ভাইরাস হিসেবেই চেনেন, তার প্রকোপে জ্বর, মেনেঞ্জাইটিস ও শিশুদের এনসেফেলাইটিস দেখা দিতে পারে। জানা গিয়েছে, চিন ও ভিয়েতনামে কিউলেক্স মশা ও শুয়োরের মাধ্যমেই CQV ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
ভারতে ওই প্রজাতির কিউলেক্স মশার উপস্থিতি দেখে আগাম সতর্কতা জারি করেছে আইসিএমআর। পুনের এই প্রতিষ্ঠান ভারতজুড়ে করা সমীক্ষায় ৮৮৩টি মানব শরীর থেকে সংগৃহীত সেরাম নমুনার মধ্যে দুটিতে CQV ভাইরাসের অ্যান্টিবডি খুঁজে পেয়েছে। এর থেকে বোঝা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি কোনও সময়ে এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিলেন। তবে ওই দুটি বাদে অন্য কোনও নমুনা বিশ্লেষণ করে মানব বা পশুর শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
২০১৪ ও ২০১৭ সালে কর্নাটক থেকে সংগ্রহ করা ওই দুই নমুনায় CQV ভাইরাসের অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও বেশ কিছু পরিমাণে মানুষ ও শুয়োরের সেরাম নমুনা পরীক্ষা করা দরকার বলে মনে করছেন আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এই গবেষণাপত্রটি ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এ (IJMR) প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতী মশা প্রজাতি এই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। পাখির শরীরেও তার উপস্থিতি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
অন্য দিকে, চিনে পালিত শুয়োরের রক্তে CQV ভাইরাসের উপস্থিতি প্রায়ই দেখা গিয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এর থেকে প্রমাণিত যে, এই ভাইরাস স্থানীয় এলাকার মধ্যেই জীবন অতিবাহিত করে থাকে।