মঙ্গলবার হাওড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার ট্রেন অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল। মঙ্গলবার বিহারে এই ট্রেন দুর্ঘটনাটি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। জামুই জেলায় পূর্ব রেলওয়ের অধীনে জাসিডিহ-ঝাঝা রেল রুটে লাইনে ফাটল দেখা গিয়েছিল। ঝাঝার বালিয়াডিহ পঞ্চায়েতের অধীনে নারগঞ্জো রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ট্র্যাকে সেই ফাটল ছিল। সেই ফাটলের ওপর দিয়েই আজ সকালে হাওড়া-মোকামা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি চলে যায়। এই সময় ট্রেনের গার্ড অস্বাভাবিক কম্পন অনুভব করেন। পরে তিনি রেল প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। এই আবহে প্রায় দেড় ঘণ্টা এই রুটে রেল চলাচল ব্যাহত হয় এবং পাটনা-হাতিয়া পাটলিপুত্র এক্সপ্রেস প্রায় এক ঘণ্টা ঘোড়পারান রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে।
ট্র্যাকে ফাটলের খবর পেয়ে রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। এ কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা আপ লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে চরম বিরক্তি দেখা দেয়। তথ্য অনুযায়ী, নারগঞ্জো স্টেশন দিয়ে যাওয়ার সময় হাওড়া মোকামা প্যাসেঞ্জারের গার্ড ঝটকা অনুভব করেন। খবর পেয়ে রেলের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে ট্র্যাক মেরামতের কাজ শুরু করেন। তবে ট্র্যাকে ফাটলের কারণে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে এই ফাটলের কারণে ট্রেনে থাকা প্রায় হাজার খানেক যাত্রীর জীবন বিপন্ন হতে পারত।
ট্র্যাক মেরামত করতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ঝাঝা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সোনেলাল সোরেনকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি লাইভ হিন্দুস্থানকে বলেন যে হাওড়া মোকামা ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৯ মিনিটে রাজলা স্টেশনে পৌঁছেছিল। মানে প্রায় ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সেই ট্রেনটি নারগঞ্জোর মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। হাতিয়া ধানবাদ পাটলিপুত্র এক্সপ্রেস ৪১ মিনিট দেরিতে ঝাঝা স্টেশনে পৌঁছায়। সোরেনের মতে, আপ লাইনে ট্রেন চলাচল এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।