ক'দিন আগেই আমেরিকা থেকে শতাধিক ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীকে ফেরানো হয়েছে। এবার এই একই কাজ করছে ব্রিটেন। সেদেশে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে বিভিন্ন ভারতীয় রেস্তোরাঁ, গাড়ি সাফাইয়ের দোকান, নেল পার্লারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই আবহে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউভেট কুপারের অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর ইংল্যান্ডের হামবারসাইড এলাকার একটি ভারতীয় রেস্তরাঁ থেকেই সাত জন অবৈধবাসীকে ধরা হয়েছে। জানুয়ারি জুড়ে ৮২৮টি জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে অবৈধবাসীদের ধরার জন্যে। এই আবহে চার্টার ফ্লাইটে করে অবৈধবাসীদের তাদের দেশে ফেরানো হচ্ছে। যাদের ফেরানো হয়েছে, তাদের মধ্যে মাদক অপরাধ, চুরি, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত অপরাধীও রয়েছে। (আরও পড়ুন: মার্কিন সফরের আগে প্যারিসে VP ভান্সের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী)
আরও পড়ুন: ১ লাখ কোটি টাকার চুক্তি প্রায় পাকা, ফ্রান্স থেকে ২৬ রাফাল ছাড়াও ভারতে আসবে…
এই নিয়ে কুপার সম্প্রতি জানান, এই অবৈধাসীদের বেআইনি ভাবে কাজে নিয়োগ করে তাঁদের শোষণ করা হচ্ছিল। গত একমাসে ৬০৯ জন অবৈধবাসীকে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুপার। এছাড়াও বৈধ পরিচয়পত্রহীন শ্রমিকদের নিয়োগ করার জন্য নানান সংস্থাকে ১০৯০টি নোটিস পাঠিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এই সব ক্ষেত্রে নিয়োগকরতা দোষী সাব্যস্ত হলে প্রতি অবৈধবাসী শ্রমিক পিছু ৬০,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে পারেন তাঁরা। কার্যত ট্রাম্পের পথেই অবৈধবাসীদের ধরতে কড়া পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে ব্রিটেনের স্টার্মারের সরকার। হোম অফিসের এনফোর্সমেন্ট, কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের পরিচালক এডি মন্টগোমারি বলেন, 'যারা মনে করে আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থা লঙ্ঘন করতে পারবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমার টিম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই পরিসংখ্যান তারই প্রমাণ। (আরও পড়ুন: মহাকুম্ভগামী ট্রেনে উঠতে না পেরে এসি কামরার জানলার কাচ ভাঙলেন বিহারে ভক্তরা)
আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধির পর সরকারি কর্মীরা আরও এক সুখবর পেতে পারেন, দাবি রিপোর্টে
আরও পড়ুন: লাগবে AI যুদ্ধ? OpenAI-এর নিয়ন্ত্রণ পেতে ৯৭.৪ বিলিয়ন ডলার দর হাঁকলেন ইলন মাস্করা
অবৈধবাসীদের ধরতে এই সব অভিযান নিয়ে কুপার বলেন, তাঁর বিভাগের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট টিম এই বছরের জানুয়ারিতে আগের বছরের তুলনায় ৪৮ শতাংশ বেশি অভিযান চালিয়েছে। আগের বছরের তুলনায় গ্রেফতারি হয়েছে ৭৩ শতাংশ বেশি। এই নিয়ে কুপার বলেন, 'অভিবাসন আইন অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং প্রয়োগ করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে, নিয়োগকর্তারা অবৈধ অভিবাসীদের শোষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। অনেকেই অবৈধ ভাবে এখানে কা জকরতে সক্ষম হয়েছেন। এর জেরে মানুষের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে ইংলিশ চ্যানেল পার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।' জানা গিয়েছে, অবৈধবাসীদের ঠেকাতে এই সপ্তাহে স্টার্মারের সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা, আশ্রয় ও অভিবাসন বিল উত্থাপন করবে। এই নয়া আইনে কোনও অবৈধবাসীকে ব্রিটেনে আসতেই তাঁদের গ্রেফতার করার আগে তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা দেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এছাড়া গ্রেফতারির পর অন্তত ২৮ দিনের জন্যে তাঁরা জামিনের জন্যে আবেদনও করতে পারবেন না।