ঘুম ভাঙল। তবে দেরিতে। তত দিনে দেশের নারীদের ওপর একের পর এক নির্মম অত্যাচার ঘটে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নারী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার কড়া নির্দেশ দিয়েছে। নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন রুখতে গাইডলাইনও দেওয়া হয়েছে। এমনকী এই ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে যদি কোনও অফিসারও যুক্ত থাকে বা দায়িত্বে ঘাটতি দেখা যায় তাহলে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশিকার পর অনেকেই বলছেন হাথরাস কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। আবার অনেকের মত, হাথরাস কাণ্ড থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শুধু হাথরাস নয় একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। এই নিয়ে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী দু’বার হাথরাস অভিযান করেছেন। একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনায় অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিজেপি’র।
এদিন যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে–এই ধরণের ঘটনায় এফআইআর দায়ের করতেই হবে। ১৫৬ (১) ধারায় যদি অপরাধ ঘটে থাকে তাহলে পুলিশকে এফআইআর নিতেই হবে। অপরাধ যদি সেই থানা এলাকার মধ্যে না ঘটে তাহলেও একটি জিরো এফআইআর দায়ের করতে হবে পুলিশকে। ফরেনসিক পরীক্ষা করাতে হবে এবং যৌন নির্যাতনে সাক্ষ্য সংগ্রহের বিশেষ কিটের মাধ্যমে দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।
এখানেই শেষ নয়, ঘটনাটিতে ব্যবহার করতে হবে ন্যাশানাল ডাটাবেস। যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে ট্র্যাক করা যায়। তবে এই নির্দেশিকা তখনই এল যখন হাথরাসের মতো ঘটনা ঘটল। এর আগে এমন মর্মান্তিক–নিষ্ঠুর–নির্মম ঘটনা ঘটলেও এই পদক্ষেপ করা হয়নি। যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।