এককথায় ভয়াবহ পরিস্থিতি। তুমুল অস্থির অবস্থা তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে একেবারে হিমসিম খাচ্ছে সরকার। আর সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এবার ৩৬ ঘণ্টা কার্ফু জারি হল শ্রীলঙ্কায়। শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে এই লকডাউন। সোমবার সকাল পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। এদিকে প্রেসিডেন্টের বাসভবনেও হামলা চালানোর চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। চরম আর্থিক সংকট, মূল্যবৃদ্ধির জেরে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়।
এদিকে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা হিরুনিকা প্রেমচন্দ্র প্রচুর মহিলাদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেছিলেন। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনী তাদের কোনওভাবে বিরত করে। এদিকে গোটা শ্রীলঙ্কা জুড়ে শাসকবিরোধী আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। একেবারে দেউলিয়া অবস্থা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসেরও আকাল শুরু হয়ে গিয়েছে। দাম চড়ছে হু হু করে। এর সঙ্গেই শুরু হয়েছে টানা লোডশেডিং।
তবে অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা, বার বার ধার নেওয়া সহ বিভিন্ন কারণে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। রবিবার দেশ জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তার আগেই রবিবার লকডাউন ঘোষণা করা হল শ্রীলঙ্কায়। এদিকে স্বাভাবিক সময় শ্রীলঙ্কার মিলিটারি, পুলিশের সঙ্গেই একযোগে কাজ করে। তবে জরুরী পরিস্থিতিতে সেনা এককভাবে কাজ করা শুরু করেছে।