জীবন্ত বালককে হামলা কুমীরের। ঘটনায় মৃত্যু হয় বালকটির। মর্মান্তিক এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয় মধ্যপ্রদেশের শিওপুর জেলার চম্বল নদী সংলগ্ন রঘুনাথপুর গ্রামে। সেখানে বালক নিখোঁজ হতেই শুরু হয় সন্দেহ। এরপরই কুমীরের হামলার কথা জানতে পারে পরিবার। কান্নায়, আর্তনাদে ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। এরপর গ্রামবাসীরা ওই কুমীরকে আটকে রাখে ৭ ঘণ্টা।
গ্রামবাসীরা যেহেতু বালকটির দেহ খুঁজে পাচ্ছিলেন না, তাই সন্দেহ করেন যে কুমীরটি গিলে খেয়ে ফেলেছে বালকটিকে। ঘটনাস্থলে আসে বনবিভাগ। তবে জেদে নাছোড়বান্দা ছিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা দাবি করেন, কুমীরের পেট চিড়ে বের করে দিতে হবে ৭ বছরের ছোট্ট বালকের দেহ! এরপর বহু চেষ্টার পর খুঁজে পাওয়া যায় ওই বালকের দেহ। পুলিশ জানাচ্ছে, মাছ ধরার জাল দিয়ে গ্রামবাসীরা কুমীরটিকে ধরে। ধরার পর কুমীরের মুখে এতটি কাঠের লাঠি ঢোকানো হয়। পুলিশের অ্যাডিশনার সুপারিন্টেডেন্ট বলছেন, গ্রামবাসীরা মনে করছিলেন এভাবে কুমীরের মুখ কাঠের দ্বারা খোলা রাখলে কুমীর বমি করে বের করে দিতে পারে ওই দেহ। স্কুলে হেডমাস্টার কেন পাঞ্জাবি-পাজামা পরেছেন? বেতন কাটার নির্দেশ DM-এর
এরপর গ্রামে বনবিভাগের লোকজন এসে গ্রামবাসীদের বোঝান যে, কোনও মতেই একটা কুমীর গোটা একটি বালককে খেয়ে ফেলতে পারেনা। বহু আলোচনার পর শান্ত হয় ক্ষিপ্ত জনতা। এরপর বালকের দেহ উদ্ধার হতেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ছেড়ে দেওয়া হয় কুমীরকে। এরপর এসডিআরএফ আসে ঘটনাস্থলে। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীকালে নদী বরাবর একটি ফেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়।