শ্রুতি তোমার/রঞ্জিত গুপ্তা
প্রবল বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুমির। তাও আবার ছোটোখাটো কুমির নয় - প্রায় ১৬ ফুট লম্বা। পরে কুমিরটি উদ্ধার করে লেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের শিবপুরির। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে ভাসছে শিবপুরি-সহ মধ্যপ্রদেশের একাংশ। তারইমধ্যে রবিবার (১৪ অগস্ট) উপচে পড়া একটি নালা দিয়ে শিবপুরির পুরনো বাসস্ট্যান্ড চত্বরে চলে আসে একটি কুমির। বৃষ্টির মধ্যে একাধিক বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করতে থাকে। তার জেরে আতঙ্ক তৈরি হয় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বন বিভাগকে। শেষপর্যন্ত ঘণ্টাচারেকের চেষ্টায় কুমির উদ্ধার করা হয়।
সেই ঘটনার ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বন বিভাগের আধিকারিকরা কুমিরটি ধরার চেষ্টা করছেন। মুখে দড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। তারইমধ্যে সেটি পালানোর চেষ্টা করছে। বন বিভাগের আধিকারিক এসকে শর্মা বলেন, 'চার ঘণ্টার চেষ্টায় কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। শিবপুরির চন্দপথ লেকে সেটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রথম শিবপুরি এলাকায় কুমির ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটল না।'
কুমির কাণ্ড
এমনিতে কোনও জনবহুল এলাকায় কুমির ঢুকে আসার ঘটনা নতুন নয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। গত বছর কর্ণাটকের এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের টুইট করা একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, উত্তর কন্নড় জেলার কোগিলাবান্না গ্রামের রাস্তায় দুলকি চালে হেঁটে যাচ্ছে কুমির। মাঝে কিছুক্ষণ বসেও পরে। অচেনা ‘অতিথি’ দেখে গ্রামের সারমেয়রা চিৎকার করতে থাকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বনকর্মীরা জানিয়েছিলেন, গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন যে সকালে গ্রামে ঢুকে পড়ে কুমিরটি। সেটি দেখে ভিড় জমতে থাকে। তবে কুমিরকে কোনওভাবে আঘাত করা হয়নি বলে দাবি করেছিলেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: কোমরের উপর জল! গর্ভবতী মহিলাকে খাটে চাপিয়ে নদী পার স্থানীয়দের, ভাইরাল ভিডিয়ো
বন বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, সম্ভবত গ্রামের কাছে অবস্থিত কালী নদী থেকে এসেছিল কুমিরটি। দান্দেলির ডেপুটি রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার রাম গৌড়া জানিয়েছিলেন, কালী নদীতে প্রচুর কুমিরের বাস। নদী থেকে উঠে গ্রামে ঢুকে পড়ার কয়েকটি ঘটনা আগেও সামনে এসেছে। এরকম ঘটনা যথেষ্ট বিরল। কিন্তু গত ছ'মাসে দু'বার নদী থেকে উঠে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে কুমির। প্রথমবার নদীর তীরের কাছে একটি ছাগলকে আক্রমণ করেছিল। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বন বিভাগের চেকপোস্টে হাজির হয়েছিল কুমির। গৌড়া বলেছিলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাইছিলাম যে কেউ কারও যেন ক্ষতি না হয়। সেক্ষেত্রে পালটা আক্রমণ চালাত (কুমির)’।