ফারিয়া ইফতিকার
CUET-UG বা কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট ফর আন্ডাগ্র্যাজুয়েট অ্যাডমিশনকে এবার বিশ্বের অন্তত ২৪টে দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওয়াশিংটন ডিসি, সিডনি, ভিয়েনা, কেপ টাউন, ওটায়ার মতো শহরে এই পরীক্ষার সেন্টার পড়বে। আধিকারিকরা মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন।
এবার CUET-UG পরীক্ষার দ্বিতীয় সংস্করণ অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষার আবেদনপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে। ২১ মার্চ থেকে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সি বিশ্বের একাধিক দেশে তাদের পরীক্ষার সেন্টার ফেলার ব্যবস্থা করছে।
এবার আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, সিঙ্গাপুর, সাউথ আফ্রিকা, রাশিয়া, কানাডা, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া, হংকং, ব্রাজিল সহ বিভিন্ন দেশে এই পরীক্ষার সেন্টার থাকবে। ইউজিসির চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, পরীক্ষা ব্য়বস্থাকে একাধিক দেশে সম্প্রাসিরত করা হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন, এনটিএ গোটা বিশ্বজুড়ে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশিকা পরীক্ষাকে এবছর ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে সকলেই সমানভাবে পড়ার সুযোগ পায় তার জন্য তাদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর , সব মিলিয়ে বিদেশের ১৩টি শহরে এই পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছিল গত বছর। মধ্য়প্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন শহরে এই পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার মধ্যে বাহরিন, কলম্বো, দোহা, দুবাই, কাঠমান্ডু, কুয়েত, মাসকট, রিয়াধ, শারজা, সিঙ্গাপুর অন্যতম। তবে এবার সেই কেন্দ্রকে আরও সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।
এবার আমেরিকা, রাশিয়া, কানাডার মতো জায়গাতেও থাকবে ভারতের পরীক্ষার সেন্টার। যে সমস্ত জায়গায় প্রবাসী ভারতীয়রা রয়েছেন সেখান থেকেও নানা অনুরোধ এসেছে দূতাবাসগুলির কাছে। তারপরই এনিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেয় ইউজিসি।
এদিকে গত বছর অন্তত পাঁচটি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের জন্য় ১,৪৯০,০০০ জন প্রার্থী আবেদন করেছিল। গত বছর ৫৪,০০০ বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। প্রথমবার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল গত বছর। সেবার ৬০ শতাংশ হাজিরা দিয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা।
তবে এর সঙ্গেই এবার ইউজিসির তরফে জানানো হয়েছে দেশের মধ্য়েও এবার পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। তবে এবার প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করা ও উত্তরপত্র আপলোড করার ক্ষেত্রে বেশি সময় দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের মতো এবারও একাধিক দিনে পরীক্ষা হবে। তিন সিফটে পরীক্ষা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ও পছন্দের বিষয়ের উপর গোটা ব্যবস্থাটি নির্ভর করছে।