গত ১ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয় তাঁর। বিচ্ছিনতাবাদী এই নেতার মৃত্যুতে যাতে উপত্যকায় কোনও প্রকার অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্যই ইন্টারনেট সার্ভিস এবং প্রিপেড কনেকশনের পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল উপত্যকায়। তবে বিগত তিনদিনে উপত্যকায় শান্তি বজায় থাকায় এবং নির্বিঘ্নে গিলানির শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ায় বিধিনিষেধ শিথিল করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। কাশ্মীর জোনের ইনস্পেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা ঘোষণা করে জানান যে ফের উপত্যকায় মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হল।
পুলিশ জানিয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাশ্মীরে কার্ফুর মতো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। গিলানির বাসভবনের আশেপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাঁর বাড়ি যাওয়ার রাস্তাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সোপোরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো করা হয়। কোনও ভাবে গিলানির মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে যাতে পাকিস্তান কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে না পারে, সেদিকে নজর ছিল নিরাপত্তারক্ষী এবং গোয়েন্দারা। এদিকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও আপাতত অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে শ্রীনগরে। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও গাড়ি আটকাচ্ছেন না বলে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান শ্রীনগরের এক বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত দু'বছর ধরে গৃহবন্দি ছিলেন গিলানি। বছরের জুন মাস নাগাদ হুরিয়ত কনফারেন্স থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে। এহেন নেতার মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে অরাজকতার সৃষ্টি করার ছক যে পাকিস্তান কষবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা ছিল না। উল্লেখ্য, গিলানির মৃত্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক টুইট করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান লিখেছিলেন, 'কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামী সৈয়দ আলি গিলানির মৃত্যুতে অত্যন্ত দুঃখিত। গিলানি সারাজীবন লড়াই করে গিয়েছেন। তাঁর উপর ভারত অত্যাচার করেছে।' পাক প্রধানমন্ত্রীর এহেন প্ররোচনামূলক টুইট থেকেই হঠাত করে কোনও ঘটনা ঘটতেই পারত। তাই মোবাইল পরিষেবা এবং ইন্টাররনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।