এমিরেটসের বিমানে দুবাই থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেছিল ওই পাচারকারী। ততক্ষণে সজাগ দৃষ্টি রেখেছিল ভারতের শুল্ক দফতরও। বিমানবন্দরে জিনিসপত্র খতিয়ে দেখতেই একই ব্যক্তির কাছ থেকে ৭ টি মহামূল্য হাত ঘড়ি উদ্ধার হয়। যারমধ্যে কিছু ঘড়িতে হীরে ও সোনা খচিত রয়েছে। মুহূ্র্তে পাকড়াও করা হয় ব্যক্তিকে।
এই ঘটনা ৪ অক্টোবরের। জেকোব অ্যান্ড কোং সংস্থার দামী ঘড়ি সহ মোট ৭ টি ঘড়ি দিল্লি বিমানবন্দরে উদ্ধার হয়। শুক্ল দফতরের জালে ধরা পড়ে এক ব্যক্তি। অভিযোগ সে দুবাই থেকে প্রায় ২৭ কোটি টাকা মূল্যের ঘড়ি পাচার করছিল। জানা গিয়েছে, দুবাই থেকে এমিরেটসের বিমানে দিল্লি আসে ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মোট ২৮.১৭ কোটির সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। কাস্টমস অ্যাক্টের ১৩৫ ধারায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শুল্ক সংক্রান্ত বিধি ভেঙে পালানোর অভিযোগ রয়েছে। যদি দেখা যায় যে, যে সামগ্রীর জন্য সে ধরা পড়েছে, তার দাম ১ কোটির বেশি হয়, তাহলে তাকে ৭ বছরের কারাবাস থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না! এমনই আইনি বিধির কথা উঠে আসছে প্রশাসনের তরফে।
জানা গিয়েছে, বিদেশ থেকে আসার পর যেভাবে অন্যান্য যাত্রীদের প্রেফাইল চেকিং হয়, সেভাবেই ওই ব্যক্তিরও প্রোফাইল চেকিং হচ্ছিল। তখনই তার ব্যাগ তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়। বের হতে থাকে একের পর এক ঘড়ি। আইফোন ১৪ প্রো, রোলেক্স অয়েস্টার ওয়াচ, রত্ন খচিত ব্রেসলেট। তবে উদ্ধার হওয়া ঘড়ির মধ্যে জেমস অ্যান্ড কো বিলিয়নিয়ার থ্রি ওয়াচটি সবদেয়ে দামি। সংস্থার ওয়েবসাইট বলছে, গোটা বিশ্বে ১৮ টিই শুধু এমন ঘড়ি রয়েছে। শুল্ক দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ষাট কোজি সোনা উদ্ধারের সমান এই উদ্ধার কাজ চলেছে। শুল্ক দফতরের হাতে একসঙ্গে এতগুলি জিনিস উদ্ধার ও তার মূল্যের দিক থেকে এই ঘটনা দিল্লি বিমানবন্দরের ইতিহাসে প্রথম। সেখানে আগে এই পরিমাণ শুল্ক ধফতরের হাতে কোনও সামগ্রী উদ্ধার হয়নি।