এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জনরোষের শিকার হল ই কমার্স সংস্থা মাইন্ত্রা-এর লোগো ‘M’। সমাজকর্মীদের একাংশের তরফে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলে অভিযোগ করা হয়েছে, লোগোতে ব্যবহার করা কমলা ও গোলাপি রং মহিলাদের জন্য ‘অবমাননাকর, অসম্মানজনক এবং অশ্লীল’।
মাইন্ত্রা-এর এই লোগো দীর্ঘ দিন ধরে গ্রাহকদের কাছে সংস্থার পরিচায়ক এবং যথেষ্ট জনপ্রিয়। কিন্তু বর্তমানে জনমত বিচার করে তাতে বদল আনতে বাধ্য হয়েছে সংস্থা।
গত ডিসেম্বর মাসে আভেস্তা ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর একতা নাজের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পরে জানুয়ারি মাসের গোড়ায় মাইন্ত্রা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সাইবার পুলিশ। মাইন্ত্রা-এর ওই লোগো পরিবর্তন না করলে সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানায়।
পরে মাইন্ত্রা-এর তরফে সাইবার পুলিশের সিনিয়র ইন্সপেক্টরকে লেখা চিঠিতে জানানো হয়, ‘আলোচনার পরে আমরা এতদ্বারা জানাচ্ছি যে, মাইন্ত্রা-র লোগো পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ চিঠির সঙ্গে মাইন্ত্রা-র পরিবর্তিত লোগোর ছবিও পাঠানো হয়।
ডিসিপি (সাইবার) রেশমি কারান্ডিকর জানিয়েছেন, ‘আমরা মাইন্ত্রার সাবেক লোগোটি আপত্তিজনক প্রকৃতির বলে মনে করি এবং সংস্থার আধিকারিকরা সেটি বদলানোর বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সমস্ত প্ল্যাটফর্মে নতুন লোগো চালু করতে একমাস সময় লাগবে।’
মাইন্ত্রা-র তরফেও পুলিশকে জানানো হয়েছে যে, তাদের পণ্য ও পণ্যের প্যাকেজিংয়ে নতুন লোগোটি ব্যবহার করা শুরু হবে। ওয়েবসাইট ও অ্যাপ-এও লোগো পরিবর্তন করা হবে। তবে আগে বিক্রি না হওয়া পণ্য ও প্যাকেজিংয়ে পুরনো লোগো থেকে গিয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থা।
অভিযোগকারী নাজের দুই আইনজীবী রাকেশ রাঠোর ও বিজয়লক্ষ্মী খোপাড়ের মতে, ইংরেজি M অক্ষরে কমলা ও গোলাপি রং ব্যবহার এবং অক্ষরটি যে ভাবে আঁকা হয়েছে, তাতে নারীর যৌনাঙ্গের আভাস রয়েছে। তাঁদের দাবি, গ্রাহকের নজর আকর্ষণ করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। এর জেরে সমাজে নারীর উপরে যৌন হেনস্থার পারদ চড়তে পারে বলেও মনে করছেন আইনজীবীরা।