যেমনটা পূর্বাভাস, সেইমতো যদি ‘আমফান’ আছড়ে পড়ে, তাহলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজ চালানোর ক্ষেত্রে মোবাইল পরিষেবার উপর বাড়তি জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।
‘আমফান’ পরিস্থিতি নিয়ে মৌসম ভবন এবন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সাংবাদিক বৈঠক হয়। সেখানে হাজির ছিলেন টেলিকম সচিব অংশু প্রকাশও। তিনি জানান, ‘আমফান’-এর মতো অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিকভাবেই অ্যান্টেনা, কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার জেরে মোবাইল পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। সেজন্য এবার আগে থেকেই বাড়তি প্রস্তুতি এবং সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে জানান টেলিকম সচিব।
তিনি বলেন, ‘টেলিকম অপারটেরদের প্রতিটি স্টেশনে জেনারেটর সঙ্গে ডিজেল রাখতে বলা হয়েছে। ফলে যেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা যখন ব্যাহত হবে, তখন তা (টেলিকম পরিষেবা) ফিরিয়ে আনা যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে যন্ত্রপাতির অংশ, অপটিক্যাল ফাইবার রাখা হবে। দ্রুত ফল্ট সারানো হবে।’
পাশাপাশি ‘আমফান’-এ ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারকাজের জন্য এসএমএম অ্যালার্ট পরিষেবা ব্যবহার করা হবে। টেলিকম সচিব বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় মানুষদের উদ্ধারকাজ নিয়ে অবহিত রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় ভাষায় বিনামূল্যে এসএমএস অ্যালার্ট পাঠানো হবে। কতবার ও কীভাবে মেসেজ পাঠানো হবে, তা রাজ্যগুলির উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'
একইসঙ্গে টেলিকম বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, 'আমফান' চলে যাওয়ার পর ইন্ট্রা-সার্কেল রোমিং চালু হবে। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি কোনও এক অপারেটরের সিম ব্যবহার করেন, 'আমফান'-এর কারণে তাঁদের পরিষেবা বিঘ্নিত হলে যে টেলিকম অপারেটরের নেটওয়ার্ক সেখানে মিলবে, সেটাই ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা।