আমফানে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। ওপার বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেকটাই কম ছিল। সেই রেশ পুরো কেটে যাওয়ার আদেই চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে একটি ঘূর্ণিঝড়। আর তার জেরে ভেস্তে যেতে পারে দুর্গাপুজো।
আবহাওয়া বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি বা দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। একটি নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন অঞ্চল এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আগামিদিনে তা ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় পরিণত হতে পারে এবং তা অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘গতি’। যে নামকরণ করেছে ভারত।
এমনিতে অক্টোবর-নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরে একাধিক নিম্নচাপ তৈরি হয়। কোনও কোনও নিম্নচাপ আবার ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। বাংলাদেশে যা ‘আশ্বিন-কার্তিকের তুফান’ হিসেবে পরিচিত।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহেই বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টির ভালোমতো তারতম্য হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে যেখানে স্বাভাবিকের থেকে ২৪.৬ শতাংশ বেশি বর্ষণ হয়েছে, সেখানে ঢাকায় স্বাভাবিকের থেকে ১৯.৪ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। যাবতীয় প্রত্যাশা ছাপিয়ে রংপুরে বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের থেকে ১৩৩ শতাংশ বেশি - ৯৭২ মিলিমিটার। বিশেষত সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ছ'দিন সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত (২৬৭ মিলিমিটার) হয়েছিল। সার্বিকভাবে বাংলাদেশে স্বাভাবিকের থেকে ৩৩.১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অক্টোবরেও স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।