বঙ্গোপসাগরের থেকে ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গ। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত পরিণত হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় গুলাবে। গোপালপুরের কাছে কলিঙ্গপত্তনমে রবিবার বিকেল ৩টে থেকে ৫টার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। এদিকে গুলাব ছাড়া আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে পূর্ব-মধ্য ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। সেটি ক্রমে শক্তি বাড়িয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে। ইতিমধ্যেই পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় এই প্রক্রিয়া আরও জোরালো হবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় গুলাবের গতিপথ রয়েছে ভুবনেশ্বর থেকে বিশাখাপট্টনমের দিকে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় সরাসরি না পড়লেও রবিবার মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সেদিন কলকাতা-সহ বাকি দক্ষিণের জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় গুলাবের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাঞ্চল ও ওডিশার দক্ষিণাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। বর্তমানে নিম্নচাপটি গোপালপুর থেকে প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার ও কলিঙ্গপত্তনম থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছে, আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে ২৮ তারিখ। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টিপাত হবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে দুই মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে নদীর জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হতে পারে। কলকাতা শহরের নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।