রবিবার সন্ধ্যা থেকে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। তার জেরে অন্ধ্রপ্রদেশে প্রাণ গিয়েছে দুই জন মৎস্যজীবীর। ওড়িশাতেও মারা গিয়েছেন একজন। তবে ইয়াসের তুলনায় এই ঘূর্ণিঝড়ে সেই অর্থে বড় কোনও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে না ওড়িশাকে। এই বিষয়ে ওড়িশার বিশেষ ত্রাণ কমিশনার পিকে জেনা জানান, রাজ্যে সেই অর্থে লক্ষণীয় বা উল্লেখযোগ্য কোনও ক্ষতি হয়নি রাজ্যে। তবে দুর্যোগ পুরোপুরি কেটে গেলে সঠিক মূল্যায়ন করা যাবে বলে জানানো হয়। এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম ও বিশাখাপট্টনমে গুলাবের জেরে বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বিশাখাপট্টনমের অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে আছে। তবে আর্থিক ক্ষতির সেরম কোনও দৃশ্য তোখে পড়েনি।
মৌসম বিভাগ সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাংশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের উপরে রয়েছে। রাত আড়াইটে নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ৬ ঘণ্টায় যা নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আরও শক্তি হারিয়ে ফেলবে।
এদিকে মৌসম বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর 'গুলাব' পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছাবে। তার ফলে মঙ্গলবার থেকে প্রবল বৃষ্টি হবে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ,হাওড়া এবং হুগলি জেলায়। ইতিমধ্যেই উপকূলের জেলাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব' পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছানোর আগে অনেকটাই শক্তি হারিয়ে ফেলবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা সত্ত্বেও সমুদ্রে গিয়ে প্রাণ হারাতে হল শ্রীকাকুলামের দুই মত্সজীবীকে। শ্রীকাকুলামের পলাসার ছয়জন মৎস্যজীবী মাছ ধরতে সমুদ্রে যান। রবিবার সন্ধ্যায় সমুদ্র থেকে ফেরার সময় দুর্যোগের মুখে পড়েন তাঁরা। গুলাবের তাণ্ডবে উল্টে যায় তাঁদের নৌকা। পাঁচজন ভেসে যান সমুদ্রে। একজন নৌকায় ছিলেন, তিনি গ্রামে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দেন। ভেসে যাওয়া দুই জন সাঁতরে কোনওরকমে তীরে এসে পৌঁছান। পরে দুজনের দেহ উদ্ধার হয়। নিখোঁজ থাকা আরও এক মৎস্যজীবীরও মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।