বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Cyclone Mocha in Bangladesh: ঘূর্ণিঝড় মোখার দাপটে কক্সবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার ঘরবাড়ি

Cyclone Mocha in Bangladesh: ঘূর্ণিঝড় মোখার দাপটে কক্সবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার ঘরবাড়ি

কক্সবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার ঘরবাড়ি (AP)

রবিবার ভোররাত থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কক্সবাজার জেলাজুড়ে লক্ষ্য করা যায়। ভোর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টিপাত। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে দমকা হওয়া ও ঝড় শুরু হয়।

ঘূর্ণিঝড় মোখা তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে ধ্বংস চিহ্ন রেখে গিয়েছে। শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপেই বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার ২০০ বাড়িঘর। এছাড়াও কক্সবাজার জেলাজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ হাজারেরও অধিক বাড়িঘর। বেশকয়েকজন মানুষ আহত হলেও কারও নিহত হওবার খবর পাওয়া যায়নি। আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশের উপকূল থেকে দিক পরিবর্তন করে মায়ানমারের প্রবল ভাবে আঘাত করে।

রবিবার ভোররাত থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কক্সবাজার জেলাজুড়ে লক্ষ্য করা যায়। ভোর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টিপাত। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে দমকা হওয়া ও ঝড় শুরু হয়। এভাবেই চলেছে রাত ৮টা পর্যন্ত।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রায় সবক’টি কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। পুরো কক্সবাজার জেলায় ১২ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। তবে আহত হলেও নিহত হওয়ার কোনও খবর নেই। উচ্চ জলোচ্ছ্বাসে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দু’লক্ষ ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল আশ্রয় কেন্দ্রে। রবিবার সন্ধ্যার পর তারা ফিরে গিয়েছে নিজেদের বাড়িঘরে। সব মিলিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় এক রাত এক দিন কেটেছে কক্সবাজার উপকূলবাসীর।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান জানান, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, কক্সবাজার জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে দু’হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত এবং ১০ হাজার বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে এক হাজার ২০০ কাচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার জেলার ৭৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ৬৭টি হোটেলকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছিল। এসব কেন্দ্রে দু’লক্ষ ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নেন। কক্সবাজার জল উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজীর সাইফ আহমেদ বলেন, আমরা অনেকগুলো জিও ব্যাগ-সহ আমাদের কয়েকটি টিম প্রস্তুত রেখেছিলাম।

যদি কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে যায় সঙ্গে সঙ্গে যেন আমরা সেখানে কাজ করতে পারি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়নি। তবে ৩৫ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে জোয়ারের সময় সাগরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কক্সবাজার, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, উখিয়া ও সদরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব চালানোর আগেই সবগুলো ট্রলার সাগর থেকে ফিরে এসেছিল। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, সোমবার বৃষ্টি বন্ধ হয়ে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারের স্থানীয় আবহাওয়া অফিস ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বলেও জানান তিনি।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি চ্যানেল আই থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)

বন্ধ করুন